তাবলীগ জামাতে যাব নাকি যাব না? শায়েখ ইবনে ঊসাইমীন। Arabic Islamic Lecture with Bangla Subtitles
আবু 'আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সুলায়মান ইবনে আব্দুর রহমান আল-উসাইমিন আল-তামিমি {রাহিমাহুল্লাহ}(আরবি: محمد بن صالح العثيمين; জন্মঃ ৯ই মার্চ, ১৯২৯ - মৃত্যুঃ ১০ই জানুয়ারি, ২০০১), সাধারণত মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ আল-উসাইমিন নামে পরিচিত, ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে সৌদি আরবের অন্যতম বিশিষ্ট ইসলামিক পণ্ডিত।তাকে আধুনিকযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
তাঁর মূল্যবান কথা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হল। এগুলা শুনে একই সাথে ইসলামিক জ্ঞান লাভ করবেন সাথে সাথে আরবি ভাষা শিখতে সহাহক হবে ইন শা আল্লাহ।
Пікірлер: 58
জাজাকাল্লাহ খাইরান প্রিয় শায়খ❤❤❤হে মহান আল্লাহ আপনি প্রিয় শায়খকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে নিন,আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন। ❤❤❤❤
@Jijid-m6o
2 ай бұрын
🚩🚩 প্রসঙ্গঃ "দাওয়াতের মেহনত" এর খুসুসিয়াত // মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে মাওঃ তারিক জামিল সাব দা,বা, এর মুজাকারা থেকে,,, 🚩 ১) দুনিয়াতে যে "ফেযা" তৈরী হয়, "উমুমি ফেযা" --- এ' ফেযা দাওয়াতের দ্বারাই তৈরী হয় ( ফেযা = পরিবেশ, দ্বীনি পরিবেশ ), মাদ্রাসা দ্বারা হয়না, খানকা দ্বারা হয়না। মাদ্রাসা বা খানকাকে আমি অস্বীকার করছি না। আমিতো তিন নিসবতওয়ালা ( নিসবত = সম্পর্ক )। আল্লাহ্ আমাকে তিন নিসবতই দিয়েছেন ( মাদ্রাসা, খানকা এবং তাবলীগ --- তিনটির সাথেই সম্পর্ক আছে )। আমার কথাকে তাই নেতিবাচক অর্থে যেন না নেওয়া হয়। আমি শুধু এক পরম বাস্তবতার দিকে তোমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। এই যে দ্বীনী পরিবেশ, এই পরিবেশ দাওয়াতের দ্বারাই পয়দা হয়। ক্রিকেটার সাইদ আনওয়ারের মত মানুষকে মাদ্রাসাওয়ালারা কখনও পাকড়াও করতে পারতোনা, খানকাওয়ালারা পাকড়াও করতে পারতো না। মাদ্রাসা হলো শিখনেওয়ালার জন্য, খানকা হলো শিখনেওয়ালার জন্য। আর তাবলীগ হলো অনিচ্ছুকদের জন্য, যারা শিখতে চায়না তাদের জন্য, যাদের শেখার কোনো আগ্রহই নাই তাদের জন্য। এই অনাগ্রহী অনিচ্ছুক মানুষদের কাছে ফায়দা পৌছানোর জন্য না মাদ্রাসাতে কোনো ব্যবস্থা আছে, না খানকাতে কোনো ব্যবস্থা আছে। অথচ এমন সমস্ত মানুষ দিয়েই দুনিয়া ভরপুর হয়ে আছে। এদেরকে শুধু "তাবলীগ"ই পারে ফায়দা পৌছাতে। 🚩 ২) এক উমুমী গাশতে আমি ছিলাম মুতাকাল্লিম ( মুতাকাল্লিম = যে কিনা কথা বলার দায়িত্বে থাকেন )। একলোককে বললাম --- "ভাই আমার কথা শুনো"। সে বললো, --- "না, শুনবো না।" বললাম --- "ভাই তোমার বড় মেহেরবানী মানবো আমি, একটু কথা শুনো।" সে বললো, --- "যাও যাও কোনো কথা শুনবো না"। আমি বললাম, --- "ভাই আমি তোমার কাছে হাতজোড় করছি, একটু শুনো"। সে বলে উঠলো, --- "আমি বরং হাতজোড় করছি, আমি শুনতে পারবো না"। বলো দেখি, মাদ্রাসার কোনো মাওলানা কি পারবেন এক আওয়ামের সামনে এইভাবে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে? যাইহোক আমি আবার বললাম, --- "বড় মেহেরবানী হবে, একটু কথা শুনো"। সে উল্টো বললো, --- "তোমার বড় মেহেরবানী হবে এখান থেকে চলে যাও। আমার ঈমান নষ্ট করোনা।" এবার আমি তার পায়ের উপর পড়ে গেলাম। পা জড়িয়ে ধরে বললাম, --- "আল্লাহর ওয়াস্তে আমার কথা শুনো"। তো সেই লোকের এত হিম্মত ছিলোনা যে উল্টো আমার পা জড়িয়ে ধরে। সে আমাকে এক ঝটকা দিলো, --- "পিছে হটো পিছে হটো"। পাশে দাঁড়ানো ছিলো একলোক। সে বলে উঠলো, --- "আরে ভাই শুনোনা কেন? একটু শুনলে কি ক্ষতি তোমার? তোমার কাছেতো আর চাচ্ছে না কিছু।" শুনে সেই লোক আমাকে বললো, --- "আচ্ছা বলো কি চাও?" বললাম --- "কিছুই চাইনা আমি। তুমি শুধু মসজিদে চলো"। --- "তুমি যাও, আমি একটু পরে আসতেছি"। বললাম, --- "না না না, আমিতো তোমাকে নিয়েই যাব"। তো সেই লোককে টেনেটুনে মসজিদে নিয়ে গেলাম আমরা। এখন তোমরাই বলো, যদি তাবলীগের মেহনত না থাকে তবে এই ধরণের লোকদেরকে কিভাবে দ্বীন ইসলামের ভিতর আনা হবে? তোমরাতো সব পড়ুয়া। তোমরা পড়া নিয়ে আছো -- তোমাদের মধ্যে পড়ার, শেখার আগ্রহ আছে। যাদের মধ্যে আগ্রহই নাই তাদের ব্যাপারে কি করা যাবে? কোনোমতেই, কোনোভাবেই --- যারা তৈরীই না কথা শুনার জন্য, তাদের জন্য কি ব্যবস্থা করা হবে? বাকিটুকু পড়ুন কমেন্টে....
@Jijid-m6o
2 ай бұрын
.......বাকিটুকু পড়ুন.... 🚩 ৩) আমার মরহুম পিতা আমাকে বুজুর্গদের বড় বড় কিতাব এনে দিতেন, বলতেন "পড়ো"। তো আমিও কিতাব সামনে নিয়ে বসে যেতাম; কিন্তু কিতাবের মাঝে রাখতাম উপন্যাস। বাবা দেখতেন তাঁর ছেলে বড় পড়ুয়া। আসলেতো কিতাবের মাঝখানে থাকতো উপন্যাস। 🥉 তো, কিতাব থাকাতে আমার মত মানুষের কি ফায়দা? খানকার শায়খের কাছে রুহানিয়াত থাকাতে আমার কি ফায়দা? আমিতো রাজীই না কিছু নেয়ার জন্য। সমাজে দ্বীনের সহী তলবওয়ালা লোক হয়তো কোটিতে একজন পাওয়া যাবে। 🥉 আর মাদ্রাসার ছাত্রদেরই বা কি হালত? ১৯৭২ সালে আমি রাইবিন্ডে ঢুকেছি। রাইবিন্ড যেন এক ভাট্টি --- একঘন্টা কাটালেই মনের মধ্যে তড়পানি শুরু হয়। সেখানে ৮ বছর কাটিয়েছি। তো এক বুজুর্গ উস্তাদ বলতেন, --- তোমরা কেউই আসলে "তালেবে ইলম" নও, সবাই তোমরা "মুয়াল্লাফাতুল ক্বুলুব"। আদর সোহাগ দিয়ে তোমাদেরকে ধরে রাখতে হয়। তোমাদের সাথে যদি "উস্তাদ সূলভ" ব্যবহার করা শুরু করি, তবে তোমরা একজনও আর থাকবে না, সবাই ভেগে যাবে। তো, সমাজে দ্বীনী যে পরিবেশ বনবে, সেটা বনবে দাওয়াতের দ্বারা, তাবলীগের দ্বারা। 🚩🚩 ৪) আজ সমাজে যতটুকুই দ্বীনী ফেযা কায়েম হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে "দাওয়াত ও তাবলীগ" এর বিরাট কুরবানী। বিশাল কুরবানী করা হয়েছে যার কারণে আজ প্রায় জায়গায়ই কোনো না কোনো পর্যায়ের দ্বীনি ফেযা কায়েম হয়েছে। সমাজে যখন তলববিহীন মানুষ অগণিত হয়ে গেছে, আল্লাহর আনুগত্য প্রায় খতম হয়ে গেছে, তখনই আল্লাহ সুঃ তাঁর আপন কুদরত দ্বারা তাবলীগের কামকে উজুদে এনেছেন, অর্থাৎ তাবলীগের কামকে অস্তিত্ব দান করেছেন। মাওঃ ইলিয়াস সাব রঃ যে পরিবেশে বড় হয়েছেন সেই পরিবেশ মোতাবেক যদি তিনি চলতেন তবে হয়তো বড় কোনো খানকা জন্ম নিতো --- "খানকায়ে ইলিয়াছিয়া"। অথবা বড় কোনো মাদ্রাসা তৈরী হোতো --- "মাদ্রাসায়ে ইউছুফিয়া ইলিয়াসিয়া"। 🥉 হযরত ইলিয়াস রঃ খানকাও চালিয়েছে 🚩 ৬) নবী সঃ যে দ্বীনী ফেযা বানিয়েছেন, কায়েম করেছেন --- তা' করেছেন দাওয়াতের জরিয়ায়। অতএব দীলে এ'কথাকে বসাও যে তোমাদের করণীয় ফরজগুলির মধ্যে বিরাট আরেকটা ফরজ শামিল আছে। তা'হলো "দাওয়াত"। 🥉 এইজন্য বে-তলবের কাছে যাও। আর তাদের তরফ থেকে যে আঘাত আসে, যে দুঃখ আর অপমান আসে সেগুলিকে বরদাশত করাে। "দাওয়াত" ছাড়া উমুমীভাবে দ্বীনি ফেযা পয়দা হতে পারে না, ফেযা কায়েম থাকতে পারেনা। মাদ্রাসার নিজস্ব এক খুসুসিয়াত আছে। সেখানে গিয়ে মানুষ ইলম শিখে। 🥉 তাবলীগে গিয়ে মানুষ ইলম শিখে না। কিন্তু তাবলীগেরও এক নিজস্ব খুসুসিয়াত আছে। উমুমী ভাবে দ্বীনি ফেযা যে সৃষ্টি হয় সেটা দাওয়াতের দ্বারাই সৃষ্টি হয়, তাবলীগের দ্বারাই সৃষ্টি হয়। তাই আমার আবেদন হলো চার দেয়ালে আটকে থাকার জজবাকে বদল করো। বে-তলব মানুষের জীবনে দ্বীন আনার ব্যাপারে গাশতের কোনো বিকল্প নাই, ব্যক্তিগতভাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার কোনো বিকল্প নাই। তাই মানুষেরই কল্যাণে মানুষেরই দুয়ারে দুয়ারে যাওয়া শিখো।
@021.sohanurrahman6
2 ай бұрын
আমীন
@Habib_Habib1
2 ай бұрын
আমীন
উনি সঠিক এবং যথার্থই বলেছেন তাবলীগের কিতাবে এমন অনেক বিদআত এবং ইসলাম পরিপন্থী ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
নিজের টাকা নিজের সময় নিজের জান নিয়ে যারা মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে তারা অবশ্যই সফলকাম।
@Atik355
2 ай бұрын
😂
এর চেয়ে সুন্দর কথা আর হইতে পারে ❤
@red2.234
2 ай бұрын
Hmm vai tik bolcen
Rahimahumullah
Uttom kotha
[রাহিমাহুল্লাহ]
তাবলীগ জামাত এর যখন উত্থান হয় তখন হযরত থানভী রাহিমুহুল্লা এই দাওয়াত এর আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন । এখতেলাফ থাকবে তবে নিজ মুসলমান ভাই কে জাহেল বলে নিজে গুনাহগার না হই।
ওনি শুধু ওনার ধারনার কথা বলেছে৷ দাওয়াতে তাবলীগ হক৷
@HudaibiyahSpeaks
2 ай бұрын
উনি তো তাবলীগের প্রশংসা করেছেনই। কিছু বিদদাত সম্পর্কে সচেতন হতে বলেছেন। আল্লাহ ভালো জানেন।
@AbuMarwa-sq3jh
2 ай бұрын
ভাই আপনি তো অনেক বোকা দেখতেছি না হক কে বলেছেন? ফেনীতে তাবলীগ সম্পর্কে হক এ@@HudaibiyahSpeaks
@akhlakhasanjian.shadow
2 ай бұрын
🎉
@mohammodraihanulislam8385
2 ай бұрын
এটা যে হক কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রমাণ করুন।
@amuslim3466
2 ай бұрын
@@mohammodraihanulislam8385 আপনি কি ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে প্রমাণ চাচ্ছেন?😂 আসেন মাদ্রাসায় আসেন, আপনার যত প্রশ্ন আছে, কিতাব থেকে সব গুলোর দলিল সহ প্রমাণ দেওয়া হবে।
حزام الله خير❤❤
@Jijid-m6o
2 ай бұрын
🚩🚩 প্রসঙ্গঃ "দাওয়াতের মেহনত" এর খুসুসিয়াত // মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে মাওঃ তারিক জামিল সাব দা,বা, এর মুজাকারা থেকে,,, 🚩 ১) দুনিয়াতে যে "ফেযা" তৈরী হয়, "উমুমি ফেযা" --- এ' ফেযা দাওয়াতের দ্বারাই তৈরী হয় ( ফেযা = পরিবেশ, দ্বীনি পরিবেশ ), মাদ্রাসা দ্বারা হয়না, খানকা দ্বারা হয়না। মাদ্রাসা বা খানকাকে আমি অস্বীকার করছি না। আমিতো তিন নিসবতওয়ালা ( নিসবত = সম্পর্ক )। আল্লাহ্ আমাকে তিন নিসবতই দিয়েছেন ( মাদ্রাসা, খানকা এবং তাবলীগ --- তিনটির সাথেই সম্পর্ক আছে )। আমার কথাকে তাই নেতিবাচক অর্থে যেন না নেওয়া হয়। আমি শুধু এক পরম বাস্তবতার দিকে তোমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। এই যে দ্বীনী পরিবেশ, এই পরিবেশ দাওয়াতের দ্বারাই পয়দা হয়। ক্রিকেটার সাইদ আনওয়ারের মত মানুষকে মাদ্রাসাওয়ালারা কখনও পাকড়াও করতে পারতোনা, খানকাওয়ালারা পাকড়াও করতে পারতো না। মাদ্রাসা হলো শিখনেওয়ালার জন্য, খানকা হলো শিখনেওয়ালার জন্য। আর তাবলীগ হলো অনিচ্ছুকদের জন্য, যারা শিখতে চায়না তাদের জন্য, যাদের শেখার কোনো আগ্রহই নাই তাদের জন্য। এই অনাগ্রহী অনিচ্ছুক মানুষদের কাছে ফায়দা পৌছানোর জন্য না মাদ্রাসাতে কোনো ব্যবস্থা আছে, না খানকাতে কোনো ব্যবস্থা আছে। অথচ এমন সমস্ত মানুষ দিয়েই দুনিয়া ভরপুর হয়ে আছে। এদেরকে শুধু "তাবলীগ"ই পারে ফায়দা পৌছাতে। 🚩 ২) এক উমুমী গাশতে আমি ছিলাম মুতাকাল্লিম ( মুতাকাল্লিম = যে কিনা কথা বলার দায়িত্বে থাকেন )। একলোককে বললাম --- "ভাই আমার কথা শুনো"। সে বললো, --- "না, শুনবো না।" বললাম --- "ভাই তোমার বড় মেহেরবানী মানবো আমি, একটু কথা শুনো।" সে বললো, --- "যাও যাও কোনো কথা শুনবো না"। আমি বললাম, --- "ভাই আমি তোমার কাছে হাতজোড় করছি, একটু শুনো"। সে বলে উঠলো, --- "আমি বরং হাতজোড় করছি, আমি শুনতে পারবো না"। বলো দেখি, মাদ্রাসার কোনো মাওলানা কি পারবেন এক আওয়ামের সামনে এইভাবে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে? যাইহোক আমি আবার বললাম, --- "বড় মেহেরবানী হবে, একটু কথা শুনো"। সে উল্টো বললো, --- "তোমার বড় মেহেরবানী হবে এখান থেকে চলে যাও। আমার ঈমান নষ্ট করোনা।" এবার আমি তার পায়ের উপর পড়ে গেলাম। পা জড়িয়ে ধরে বললাম, --- "আল্লাহর ওয়াস্তে আমার কথা শুনো"। তো সেই লোকের এত হিম্মত ছিলোনা যে উল্টো আমার পা জড়িয়ে ধরে। সে আমাকে এক ঝটকা দিলো, --- "পিছে হটো পিছে হটো"। পাশে দাঁড়ানো ছিলো একলোক। সে বলে উঠলো, --- "আরে ভাই শুনোনা কেন? একটু শুনলে কি ক্ষতি তোমার? তোমার কাছেতো আর চাচ্ছে না কিছু।" শুনে সেই লোক আমাকে বললো, --- "আচ্ছা বলো কি চাও?" বললাম --- "কিছুই চাইনা আমি। তুমি শুধু মসজিদে চলো"। --- "তুমি যাও, আমি একটু পরে আসতেছি"। বললাম, --- "না না না, আমিতো তোমাকে নিয়েই যাব"। তো সেই লোককে টেনেটুনে মসজিদে নিয়ে গেলাম আমরা। এখন তোমরাই বলো, যদি তাবলীগের মেহনত না থাকে তবে এই ধরণের লোকদেরকে কিভাবে দ্বীন ইসলামের ভিতর আনা হবে? তোমরাতো সব পড়ুয়া। তোমরা পড়া নিয়ে আছো -- তোমাদের মধ্যে পড়ার, শেখার আগ্রহ আছে। যাদের মধ্যে আগ্রহই নাই তাদের ব্যাপারে কি করা যাবে? কোনোমতেই, কোনোভাবেই --- যারা তৈরীই না কথা শুনার জন্য, তাদের জন্য কি ব্যবস্থা করা হবে?
@Jijid-m6o
2 ай бұрын
.......বাকিটুকু পড়ুন.... 🚩 ৩) আমার মরহুম পিতা আমাকে বুজুর্গদের বড় বড় কিতাব এনে দিতেন, বলতেন "পড়ো"। তো আমিও কিতাব সামনে নিয়ে বসে যেতাম; কিন্তু কিতাবের মাঝে রাখতাম উপন্যাস। বাবা দেখতেন তাঁর ছেলে বড় পড়ুয়া। আসলেতো কিতাবের মাঝখানে থাকতো উপন্যাস। 🥉 তো, কিতাব থাকাতে আমার মত মানুষের কি ফায়দা? খানকার শায়খের কাছে রুহানিয়াত থাকাতে আমার কি ফায়দা? আমিতো রাজীই না কিছু নেয়ার জন্য। সমাজে দ্বীনের সহী তলবওয়ালা লোক হয়তো কোটিতে একজন পাওয়া যাবে। 🥉 আর মাদ্রাসার ছাত্রদেরই বা কি হালত? ১৯৭২ সালে আমি রাইবিন্ডে ঢুকেছি। রাইবিন্ড যেন এক ভাট্টি --- একঘন্টা কাটালেই মনের মধ্যে তড়পানি শুরু হয়। সেখানে ৮ বছর কাটিয়েছি। তো এক বুজুর্গ উস্তাদ বলতেন, --- তোমরা কেউই আসলে "তালেবে ইলম" নও, সবাই তোমরা "মুয়াল্লাফাতুল ক্বুলুব"। আদর সোহাগ দিয়ে তোমাদেরকে ধরে রাখতে হয়। তোমাদের সাথে যদি "উস্তাদ সূলভ" ব্যবহার করা শুরু করি, তবে তোমরা একজনও আর থাকবে না, সবাই ভেগে যাবে। তো, সমাজে দ্বীনী যে পরিবেশ বনবে, সেটা বনবে দাওয়াতের দ্বারা, তাবলীগের দ্বারা। 🚩🚩 ৪) আজ সমাজে যতটুকুই দ্বীনী ফেযা কায়েম হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে "দাওয়াত ও তাবলীগ" এর বিরাট কুরবানী। বিশাল কুরবানী করা হয়েছে যার কারণে আজ প্রায় জায়গায়ই কোনো না কোনো পর্যায়ের দ্বীনি ফেযা কায়েম হয়েছে। সমাজে যখন তলববিহীন মানুষ অগণিত হয়ে গেছে, আল্লাহর আনুগত্য প্রায় খতম হয়ে গেছে, তখনই আল্লাহ সুঃ তাঁর আপন কুদরত দ্বারা তাবলীগের কামকে উজুদে এনেছেন, অর্থাৎ তাবলীগের কামকে অস্তিত্ব দান করেছেন। মাওঃ ইলিয়াস সাব রঃ যে পরিবেশে বড় হয়েছেন সেই পরিবেশ মোতাবেক যদি তিনি চলতেন তবে হয়তো বড় কোনো খানকা জন্ম নিতো --- "খানকায়ে ইলিয়াছিয়া"। অথবা বড় কোনো মাদ্রাসা তৈরী হোতো --- "মাদ্রাসায়ে ইউছুফিয়া ইলিয়াসিয়া"। 🥉 হযরত ইলিয়াস রঃ খানকাও চালিয়েছে 🚩 ৬) নবী সঃ যে দ্বীনী ফেযা বানিয়েছেন, কায়েম করেছেন --- তা' করেছেন দাওয়াতের জরিয়ায়। অতএব দীলে এ'কথাকে বসাও যে তোমাদের করণীয় ফরজগুলির মধ্যে বিরাট আরেকটা ফরজ শামিল আছে। তা'হলো "দাওয়াত"। 🥉 এইজন্য বে-তলবের কাছে যাও। আর তাদের তরফ থেকে যে আঘাত আসে, যে দুঃখ আর অপমান আসে সেগুলিকে বরদাশত করাে। "দাওয়াত" ছাড়া উমুমীভাবে দ্বীনি ফেযা পয়দা হতে পারে না, ফেযা কায়েম থাকতে পারেনা। মাদ্রাসার নিজস্ব এক খুসুসিয়াত আছে। সেখানে গিয়ে মানুষ ইলম শিখে। 🥉 তাবলীগে গিয়ে মানুষ ইলম শিখে না। কিন্তু তাবলীগেরও এক নিজস্ব খুসুসিয়াত আছে। উমুমী ভাবে দ্বীনি ফেযা যে সৃষ্টি হয় সেটা দাওয়াতের দ্বারাই সৃষ্টি হয়, তাবলীগের দ্বারাই সৃষ্টি হয়। তাই আমার আবেদন হলো চার দেয়ালে আটকে থাকার জজবাকে বদল করো। বে-তলব মানুষের জীবনে দ্বীন আনার ব্যাপারে গাশতের কোনো বিকল্প নাই, ব্যক্তিগতভাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার কোনো বিকল্প নাই। তাই মানুষেরই কল্যাণে মানুষেরই দুয়ারে দুয়ারে যাওয়া শিখো।
যে বিষয়ে সঠিক জ্ঞ্যান নেই। সে বিষয়ে চুপ থাকাই হিকমাহ। কোনো জ্ঞ্যনী ব্যক্তি সকল বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা দুষ্কর।
@MarkazusShifa
2 ай бұрын
উনি সঠিক এবং যথার্থই বলেছেন তাবলীগের কিতাবে এমন অনেক বিদআত এবং ইসলাম পরিপন্থী ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
@rebelstar5892
2 ай бұрын
উনি সঠিক কথাই বলেছেন।
@MuhammadSony
2 ай бұрын
তার [রাহিমাহুল্লাহ] চেয়ে কি নিজেকে বেশি জ্ঞানী মনে করেন?
@hasan9.11
2 ай бұрын
আরে ভাই, উনার চিনেন? আপনার আকাবিররা উনার জুতা সাফ করার যোগ্যতা রাখে?
@asaduzzamanlashkar7032
2 ай бұрын
@@MuhammadSony নাহ, মোটেও নাহ। উনি বলেছেন "আমি শুনেছি যে" সেখানে অনেক নেতা আছেন যাদের বিশ্বাস সন্দেহযুক্ত... " আপনি ই বলেন শোনা কথা যাচাই না করে বর্ণনা করা কেমন...? অথচ, যাচাই করার জন্য আল্লাহ উনাকে যথেষ্ট হায়াত দান করেছিলেন। তাবলীগ এর নেতা? তিনি স্বয়ং আবু বকর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু আনহুর বংশধর। ভারতীয় উপমহাদেশে যেসব বংশের দায়ীগন এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম পুরনো এবং পরীক্ষিত উনারা। হ্যাঁ, তাবলীগের কিছু সাধারণ সাথীদের সাথে তার পরিচয়ের ভিত্তিতে তিনি তাদের সারল্য, তাদের দাওয়াতের প্রভাব এগুলো তিনি স্বীকার করেছেন।
আল্লাহ জাহেল তাবলীগী দেওবন্দীদের হেদায়েত দিক
@layman3295
2 ай бұрын
allah tala দেহবাদী এবং মাদখালীদের থেকে আমাদের হেফাজত করুন আমিন
@hasan9.11
2 ай бұрын
@@layman3295 আল্লাহর সিফাত সাব্যস্ত যদি দেহবাদ হয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রাসূল, সাহাবা, তাবেয়ীন , আইম্মায়ে মুজতাহিদীন উনারা দেহবাদী ছিল। অথচ কোনো সাহাবীর যুগে মাতুরিদি শব্দের অস্তিত্ব ছিল, খুঁজে পাওয়া সুস্থ আকল এর সাথে যায় না
@ImranKhan-jt8ti
2 ай бұрын
@@hasan9.11 সালাফি শব্দ , আহালে হাদিস শব্দ কোন সাহাবির যুগে ছিল?
@Mahdi_757
2 ай бұрын
@@ImranKhan-jt8tiহানাফি নাম কে দিল?
@hasan9.11
2 ай бұрын
@@ImranKhan-jt8ti সালাফ, আহলুল হাদীস, আহলুল আছার এইসব শব্দগুলো ৩০০ হিজরীর মধ্যে ইমামদের লেখা বহু আকীদার কিতাবে পাবেন। সালাফী শব্দটা ব্যবহারের উদ্দেশ্য এটা বুঝানো যে আমার সালাফদের দিকে নিজেদের নিসবত করছে, যাদেরকে আল্লাহ কুরআনে সাবিকুন, আর সন্তুষ্টির সংবাদ দিয়েছেন। আর রাসূল তাদের কুরুনে মুফাদদালাহ বলেছেন। এইটা মূলত আহলুল বিদআহ্ ওয়াল ফুরকা থেকে একটা ফারক তৈরি করার উদ্দেশ্যে। তবে মূল পরিচয় মুসলিম যেমন আল্লাহর রাসূল জীবনেও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ শব্দ ব্যবহার করেননি। কিন্তু পরবর্তী যুগে খারেজী, কাদারিয়া ফিরকা গুলোর ফিতনা শুরু হলে সাহাবায়ে কেরাম একটা পার্থক্য তৈরি করতে আহলুস সুন্নাহ শব্দটি প্রচলন করেন। কিন্তু মুহাদ্দিসদের যুগ পর্যন্ত এই শব্দটাও অনেকেই দূষিত করে আসছে। যেহেতু হাদীসের ইমামরা সবাই আছারী ছিলেন, তাদের থেকেই আহলুল হাদীস শব্দ ব্যাপকভাবে এসেছে