Here you will find all types of speech of Mufti arif bin habib and Islamic Speech, Bayan, Waz, Tafsir mahfil, Waz mahfil, Islamic Naat, Quran Recitation etc.
দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে বিনিময় নেওয়ার কথা এবং মসজিদে ঈমামতি করে বিনিময় নেওয়ার কথা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ নেই আল্লাহ বলেন, তোমরা অনুসরণ কর তাদের যারা কোন বিনিময় নেয় না, অথচ তারা সত্য পথে আছে (৩৬ঃ২১)। অতএব মসযিদের ঈমাম যখন বেতনভুক্ত তখন তাকে অনুসরণ করা কোরআন সম্মত নয়। আর কিছু লোক এমন আছে দ্বীন প্রচার করার দায়িত্ব প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও তারা দ্বীন প্রচার করতে যায়। আর সেক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত বা অংশ গোপন রাখে যেমন আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদার কথা কোরআনে উল্লেখ থাকার পরও ঐ সেজদার রহস্য ব্যক্ত করে না। উহারা সত্য গোপন করে বিনিময় কিছু পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াতকে গোপন করে তাদেরকে আমি লানত করি (২ঃ১৫৯)। আর আয়াত গোপন করার শর্তে তাহারা কিছু বিনিময় নিয়ে মনগড়া কিচ্ছা কাহিনী বলে ওয়াজ করে টাকা চুক্তির মাধ্যমে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াত গোপন করে বিনিময় নেয় তাদের নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতিত কিছুই পুরে না (২ঃ১৭৪)। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না (২ঃ১৭৪)। আর তাদেরকে আল্লাহ কখনও পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে (২ঃ১৭৪) আর উহারাই সৎ পথ হতে ভ্রান্ত পথে আছে (২ঃ১৭৫) এবং উহারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে আর আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতইনা ধৈর্য্যশীল (২ঃ১৭৫)। কাজেই যারা চুক্তি ভিত্তিক ওয়াজ করা নামধারী আলেম, যাহারা এহেন বিনিময় গ্রহণ করে উহারা যেহেতু ভ্রান্ত পথে আছে, আর তাদের মতবাদও ভ্রান্ত মতবাদ, আর তাদের বিষয়ে এত আজাব গজবের কথা কোরআনে উল্লেখ করার পরও উহারা জেনে শুনেই সেগুলি করে ফলে তাহারা মুর্খ। আর মূর্খদেরকে পরিহার কর (৭ঃ১৯৯) তাদের মতবাদও পরিহারযোগ্য।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
আল্লাহ পাক আদম আ: সালামকে কেন সেছদা দিতে বলেছিলেন? আদম সেজদার রহস্য কি? ইউসুফ নবীকে তার 11 ভাই ও মাতা পিতা কেন সেজদা করে ছিলেন?
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
পবিত্র কোরআন থেকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা (২য় খন্ড) দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলগণই একমাত্র ইমাম বা নেতা এবং আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে সেদিন রসূলগণই একমাত্র সুপারিশকারী রসূলগণ ব্যতীত অন্য কাউকে ইমাম বা নেতা হিসেবে আনুগত্য করার কথা কোরআনে উল্লেখ নেই। আবার রসূলগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে ইমাম বা নেতা হিসেবে আনুগত্য করলে সেই আনুগত্য রসূলের হবে এমনও কোনো আয়াত কোরআনে নেই। বিধায় সেই সকল ইমামগণের আনুগত্য একত্ববাদে আসছে না। যে সকল ইমামগণ রসূল নহে এজন্য দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলগণের আনুগত্যের পরেও যারা এমন কোনো ব্যক্তিকে ইমাম সাব্যস্ত করে তাদের আনুগত্য করল, সে আনুগত্য আল্লাহর খতিয়ানভুক্ত হয় না। বিধায় উক্ত ইমামগণের আনুগত্য করা দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ত্বের সামিল হয় বিধায় সেই সকল ইমামগণের আনুগত্য একত্ববাদে গণ্য হচ্ছে না। পক্ষান্তরে রসূলের আনুগত্য করলে সে আনুগত্য আল্লাহর হচ্ছে (সূরা-নেছা, আয়াত-৮০)। আর তাই দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলের আনুগত্য করাকে একত্ববাদে আনা যাচ্ছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে একমাত্র রসূল ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে দ্বীনের ইমাম সাব্যস্ত করে আনুগত্য করলে একত্ববাদে আসছে না। বিধায় দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহ বিশ্বাস কর ও রসূল বিশ্বাস কর, তিন বলিওনা (সূরা-নেছা, আয়াত-১৭১)। আর মুশরিকরা বা তিন তত্ত্বে বিশ্বাসীগণ বলেন "আল্লাহতো তিনের মধ্যে একজন।" (সূরা-মায়েদা, আয়াত- ৭৩)। এই দুই আয়াত অনুসারে দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ব শেরেকে গণ্য হবে বিধায় যারা দ্বীনের ক্ষেত্রে একমাত্র রসূল ব্যতীত ৩য় কোনো ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে তার অনুগত্য করলে সেটা অবশ্যই শেরেকে গণ্য হবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যেহেতু রসূল ব্যতীত কেউ আনুগত্য পাওয়ার অধিকারী নয়, বিধায় সেদিন একমাত্র রসূলগণই ইমাম বা নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন। কারণ দ্বীনের ক্ষেত্রে যিনি আনুগত্য পাওয়ার অধিকারী নয় এমন কোনো ব্যক্তি সেদিন ইমাম বা নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই রসূলগণই একমাত্র ইমাম এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই কারণে যারা রসুল নহে এমন ব্যক্তিকে দ্বীনের ক্ষেত্রে ইমাম সাব্যস্ত করে তার আনুগত্য, অনুসরণ করলে সেটা শেরেকে গণ্য হবে। আর তাই সেদিন প্রত্যেক মানুষ সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে ইমাম বা নেতাগণকে উপস্থিত করা হবে। (সূরা-বনি ইসরাইল, আয়াত- ৭১)। রসূলগণই সেদিন ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন। এই জন্য আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক উম্মতের বা সম্প্রদায়ের কাছে আমি রসুল পাঠাই। (সূরা ইউনুস : ৪৭) পূর্ব অধ্যায়ের আলোচনার মতে সম্যক গুরুগণই রসূল। অর্থাৎ যার যার গুরু তার তার রসূল, আর সেই রসূলগণকেই সেদিন আল্লাহ ইমাম বা নেতা হিসেবে আহ্বান করবেন। আর এই রসূলগণই সেদিন সাক্ষীগণের দায়িত্ব পালন করবেন। সেই লক্ষ্যে সেদিন নবীগণ ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে। (সূরা যুমার : ৬৯) এই আয়াতে স্বাক্ষীগণ বলতে সম্যক গুরুগণ অর্থাৎ রসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। আর নবীগণ তাদের সঙ্গীদের তথা সাহাবীদের বিষয়ে সাক্ষীদাতা হবেন। আর তার সাহাবীরা (রিসালাতপ্রাপ্ত) সাক্ষদাতা হবেন তার পরবর্তী মানুষের জন্য। (সূরা-হজ, আয়াত-৭৮)। আর নবী (স.)-কে আনা হবে রসূলগণের সাক্ষ্যকে যাচাই করার জন্য (সূরা-নাহল, আয়াত-৮৯)। অর্থাৎ রিসালাতের ধারাবাহিকতা সঠিক কিনা তা যাচাই করবেন নবী মোহাম্মদ (স.)। যাদের রেসালাতের ধারাবাহিকতা নবী (স.) দ্বারা সঠিক বলে সনাক্ত হবেন, সেই সকল গুরুগণ অর্থাৎ রসূলগণ আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তার অনুসারিদেরকে সুপারিশ করবেন। আল্লার অনুমতি ব্যতীত কেউ সুপারিশ করতে পারবেন না (সূরা-ইউনুস, আয়াত- ৩)। আল্লার অনুমতি ব্যতীত কেউ কোনো কথা বলতে পারবেন না। সকল সুপারিশ একমাত্র আল্লাহরই নিকট। (সূরা-জুমার, আয়াত-৪৪)। আল্লাহ ছাড়া কোনো সুপারিশকারী নেই। (সূরা-সেজদা, আয়াত-৪) আল্লার অনুমতি ব্যতীত কাহারো সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না। (সূরা-সাবা, আয়াত-২৩ )। যারা রসূলের আনুগত্য করে নেই তারা ইবলিসের অনুসারী বলে গণ্য, আর তাই তাদেরকে আল্লাহ পছন্দ করে না, আর পছন্দ করে না বিধায় তাদেরকে সুপারিশের কোনো অনুমতি দিবেন না। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন ও আল্লাহ যার কথা পছন্দ করে সে ব্যতীত কাহারো সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না। (সূরা-ত্বাহা, আয়াত-১০৯)। সাফায়েত প্রাপ্তির জন্য সম্যক গুরুর নিকট তথা রসূলের নিকট দ্বীনের আনুগত্যের বায়াত গ্রহণই একমাত্র পথ।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে বিনিময় নেওয়ার কথা এবং মসজিদে ঈমামতি করে বিনিময় নেওয়ার কথা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ নেই আল্লাহ বলেন, তোমরা অনুসরণ কর তাদের যারা কোন বিনিময় নেয় না, অথচ তারা সত্য পথে আছে (৩৬ঃ২১)। অতএব মসযিদের ঈমাম যখন বেতনভুক্ত তখন তাকে অনুসরণ করা কোরআন সম্মত নয়। আর কিছু লোক এমন আছে দ্বীন প্রচার করার দায়িত্ব প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও তারা দ্বীন প্রচার করতে যায়। আর সেক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত বা অংশ গোপন রাখে যেমন আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদার কথা কোরআনে উল্লেখ থাকার পরও ঐ সেজদার রহস্য ব্যক্ত করে না। উহারা সত্য গোপন করে বিনিময় কিছু পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াতকে গোপন করে তাদেরকে আমি লানত করি (২ঃ১৫৯)। আর আয়াত গোপন করার শর্তে তাহারা কিছু বিনিময় নিয়ে মনগড়া কিচ্ছা কাহিনী বলে ওয়াজ করে টাকা চুক্তির মাধ্যমে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াত গোপন করে বিনিময় নেয় তাদের নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতিত কিছুই পুরে না (২ঃ১৭৪)। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না (২ঃ১৭৪)। আর তাদেরকে আল্লাহ কখনও পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে (২ঃ১৭৪) আর উহারাই সৎ পথ হতে ভ্রান্ত পথে আছে (২ঃ১৭৫) এবং উহারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে আর আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতইনা ধৈর্য্যশীল (২ঃ১৭৫)। কাজেই যারা চুক্তি ভিত্তিক ওয়াজ করা নামধারী আলেম, যাহারা এহেন বিনিময় গ্রহণ করে উহারা যেহেতু ভ্রান্ত পথে আছে, আর তাদের মতবাদও ভ্রান্ত মতবাদ, আর তাদের বিষয়ে এত আজাব গজবের কথা কোরআনে উল্লেখ করার পরও উহারা জেনে শুনেই সেগুলি করে ফলে তাহারা মুর্খ। আর মূর্খদেরকে পরিহার কর (৭ঃ১৯৯) তাদের মতবাদও পরিহারযোগ্য।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কোরআন মাফিক ফয়সালা অনেকেই বলে, নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে রসূলের সুন্না তথা হাদীসকে দীনের দলিল হিসাবে রেখে গেছেন। তাদের এই কথা ঠিক নহে। কারণ নবী (সঃ) দ্বীনের ক্ষেত্রে একটি কথাও নিজের তরফ থেকে বা মনগড়াভাবে বলেন নাই (৫৩ঃ৩)। তাঁহার প্রতি যাহা ওহী নাযিল হইত দ্বীনের ক্ষেত্রে তিনি শুধু তাহাই ব্যক্ত করেন (৫৩ঃ৪)। তিনি কোন কিছু আল্লাহর নামে বানাইয়া বলেন নাই (৬৯ঃ৪৪)। যদি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানাইয়া বলিতেন তাহলে আল্লাহ তার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতেন (৬৯ঃ৪৫) এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়া দিতেন (৬৯ঃ৪৬)। তাছাড়া তিনি ওহী ব্যতিত দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে সতর্ক করেন নাই (২১ঃ৪৫)। আর নবী (সঃ) ওহী ব্যতিত কোনকিছু অনুসরণও করেন নাই (৬ঃ৫০) আর আল্লাহ তো নবী (সা.)-এর জন্য এই কোরানকে বিধান হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন (২৮ঃ৮৫)। আর নবী (সঃ)-কে আল্লাহ বলেন, তুমি ওহিকে অবলম্বন কর (৪৩ঃ৪৩) আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমাণের উপর অর্থাৎ ওহীর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল (৬ঃ৫৭)। কারণ দ্বীনের বিষয়ে কোরআনই পরিপূর্ণ দলিল (৫ঃ৩)। কারণ সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর কথাই পরিপূর্ণ (৬ঃ১১৫)। অতএব, দ্বীনের বিষয়ে যারা কোরআন মাফিক বিধান দেয় না তারা যালিম, ফাসিক ও কাফির (৫ঃ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই নবী (সঃ) কোরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই। তবে এক শ্রেণীর লোক নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণকে বিকৃতভাবে বর্ণনা করেছে। বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) সেই দুইটি বিষয়ের কথাই উল্লেখ করে বলেছেন, যে দুইটি বিষয় সূরা মায়েদার ৪৮ নং আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে জানাইয়া দিয়াছেন। লিবুল্লী যাআলনা মিনকুম শির আতা ওয়া মিনহাজা। এখানে উল্লেখ্য যে, শির আতা অর্থ ধর্মীয় আইন (আরবী অভি. পৃ. নং-১৫২০)। মিনহাজার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে প্রকাশ্য রাস্তা (আরবী অভি. পৃ. নং- ২৩১২)। উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছেÑ প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি ধর্মীয় আইন (কুরআন) এবং (আল্লাহ প্রাপ্তির) প্রকাশ্য রাস্তা। অর্থাৎ এই দুইটি বিষয় হচ্ছে (১) আল্লাহর বিধান যেটা কিতাবউল্লাহ, অর্থাৎ এই কোরআন। (২) অপরটি হচ্ছে মিনহাজা। অর্থাৎ আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ। যে পথের মধ্যে ডযড় রং ঃযব অষষধয এর অহংবিৎ নিহিত আছে। যে পথটা বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শনের যুগেও মানুষের কাছে অজানা। আর আল্লাহ বলেন, অজানা বিষয়টি রসূল তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন (২ঃ১৫১)। এই জন্য মোমিনদের মধ্য থেকেই মোমিনদের কাছে রসূল পাঠাই (৩ঃ১৬৪)। এইজন্য প্রত্যেক নবীর কাছথেকে এই মর্মে অঙ্গীর নিয়েছেন তোমার (শেষাংশে) কাছে একজন রসূল যাবে, তাকে তুমি রিশ্বাস করবে এবং (রিসালাত দিয়ে) সাহায্য করবে (৩ঃ৮১)। এই অঙ্গিকার অনুসারে প্রত্যেক নবীর শেষাংশে বিশ্বস্তদের মধ্যথেকে একজনকে রেসালাতের ভার দিয়ে রসূল হিসাবে রেখে গেছেন। যার মধ্যে আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ নিহিত আছে। অতএব বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) দুটি বিষয় রেখে গেছেন (১) কিতাবুল্লাহ অর্থাৎ কোরান (২) রসুল যেটা আল্লাহ প্রাপ্তির স্পষ্ট পথ যেটা মিনহাযা বলে উল্লেখ করা হযেছে। অতএব বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) কোরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
নবী মোহাম্মদ (সা.) স্বরূপে সেজদাকারী ছিলেন নবী (সা.) কোরআনের সকল আয়াত মেনে চলেছেন (৬:৫০) এবং নবী (সা.) সাহাবীগণও নবী (সা.)কে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আল্লাহ বলেন প্রত্যেক সেজদায় তোমাদের চেহারাকে প্রতিষ্ঠিত কর (৭:২৯)। এই আয়াত অনুসারে প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.) তাঁর নিজের চেহারা সুরতটা প্রতিষ্ঠিত রেখে ঐ চেহারাই প্রভুর চেহারা বিশ্বাস করে সেজদা দিয়েছে এবং তিনি নিজের চেহারা সুরতে তার প্রভুকে দেখেছিল যখন তার প্রভু তার নিজ আকৃতি ধারণ করে তার দর্শন দিয়েছিল (৫৩:৬)। নবী (সা.)-এর যেহেতু দেহগতভাবে মানুষই ছিলেন (১৮:১১০) সেহেতু নবী (সা.) এর আকৃতিগত চেহারায় আদমের আকৃতিগত চেহারার অনুকরণে তৈরি। সেহেতু ফেরেস্তারা যেমনভাবে আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েছিল (১৫:২৯) (৩৮:৭২) ঠিক তেমনই নবী (সা.) যখন তার নিজের চেহারায় প্রভুকে সেজদার সময় দৃষ্টিতে স্থির করেছিল সেহেতু তিনি মূলত আদম চেহারায় সেজদারকারীর সামিল বলে গণ্য। আর তখনই নবী (সা.)-এর সাথে ইবলিশ ঐ সেজদায় সামিল হয় নাই বিধায় তিনি ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিল। কারণ ইবলিশ তো আদম চেহারায় সেজদার সামিল হবে না (১৫:৩৩)। আর নবী (সা.) এর সাহাবীরাও প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.)এর চেহারা তাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত করেই তাদের প্রভুকে সেজদা করেছে। কারণ প্রত্যেক সাহাবীগণই নবী (সা.)কে প্রত্যেক বিষযে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আর তাই সেজদার বিষয়ে নবী (সা.) যে চেহারাই সেজদা দিয়েছে তার সাহাবীরাও সেই চেহারাই সেজদা দিয়েছে বিধায় নবী (সা.) এর সকল সাহাবীগণ নবী (সা.) চেহারা সেজদার সময় যাজন করেছিলেন। তাই তারা মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না (৬:৭৯)। সাহাবীরাও আদমকাবায় সেজদার সামিল বলে গণ্য ছিলেন বিধায় তারাও ঐ একই প্রক্রিয়াই বা একইভাবে ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিলেন বিধায় আমাদেরকেও আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েই ইবলিশ থেকে পবিত্র হতে হবে। এরজন্য একজন সম্যক গুরু তথা রসুল দরকার। আর সেই রসুল তোমাকে পবিত্র করবেন (২:১৫১)। এখানে উল্লেখ যে অনেকে মনে করতে পারেন যে, সেজদার সময় তোমাদের চেহারা বলতে সাহাবীরা নিজের চেহারা সেজদার সময় প্রতিষ্ঠিত করেছে কথাটা ঠিক নহে। কারণ এখানে স্বরূপে সেজদা কর বলতে যে চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ সেই চেহারাটাকেই বুঝানো হয়েছে। আর তাই নবী (সা.)-এর চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ তিনি নবী। আর প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে নবুয়ত প্রাপ্ত (৩:৭৯) এবং প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে রেসালাত প্রাপ্ত (৭২:২৩)। তাই প্রত্যেক নবীর চেহারাই সেজদাযোগ্য স্বরূপ। যেমন আদম (আ.) এর চেহারা আদমের ক্ষেত্রে সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ আদম ছিলেন রেসালাত প্রাপ্ত (২:৩০)। কিন্তু ফেরেস্তাদের চেহারা সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে। কারণ ফেরেস্তারা খেলাফত প্রাপ্ত নহে। এইজন্য যাহারা রেসালাত প্রাপ্ত বা খেলাফত প্রাপ্ত নহে তাদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে বিধায় সাহাবীদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরপ নহে বিধায় প্রত্যেক সাহাবীই নবী (সা.) এর চেহারায় সেজদা সময় প্রতিষ্ঠতি করেছে।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
দ্বীনের ক্ষেত্রে সঠিক দল কোনটি সঠিক দ্বীন থেকে সরে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে (৩০:৩২)। বহু দলে মানুষ বিভক্ত হলেও একটি মাত্র দলই জান্নাতে যাবে। অর্থাৎ যে দলটা সঠিক সেই দলটিই জান্নাতে যাবে। আর বাতিল দলগুলির মধ্যে বিরোধ থাকবে। তাই সঠিক দলটি চেনার উপায় হচ্ছে যে দলের সাথে অন্যান্য সকল দলের বিরোধ সেই দলটিই সঠিক। দ্বীনের ক্ষেত্রে পরস্পর বিরোধী যতগুলি দল আছে সেই দলগুলিই সকলে যে দলটির সাথে বিরোধ করে মূলত সেই দলটিই সঠিক। কারণ সেই দলের মধ্যে ইবলিশ নেই, বাকি সকল দলের মধ্যেই ইবলিশ আছে। ইবলিশ নেই এমন দলের সংখ্যা একটা। যে দলের মধ্যে ইবলিশ নেই সেই দলের পরিচয় হচ্ছে তারা আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা করে। কারণ ইবলিশ আদমকাবায় সেজদায় সামিল হবে না (১৫:৩৩)। কারণ ইবলিশ আদমকে সেজদা না দিয়ে কাফের (২:৩৪)। আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা না করে তারা রসুল সুরতে আল্লহার দর্শন লাভ করে নাই। ফলে তাদের কাছে আল্লাহ অদেখা আর অদেখা বিষয়টি স্মরণযোগ্য নয় বিধায় তারা আল্লাহর স্মরণে ব্যর্থ। তাই তাদের মন মস্তিষ্কে রসুল সুরতে আল্লাহর স্মরণ থাকে না। তাহলে তারা আল্লাহর স্মরণে গাফেল থাকে এজন্য তাদের সাথে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট থাকে (৪৩:৩৬)। তাই ইবলিশ থেকে মুক্ত হতে হলে আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিতে হবে। আর এই সেজদার কারণে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট সকল দলই তাদের সাথে বিরোধ করে। তাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা কোরআন অনুসরণ করে। কোরআনের বাইরে তারা কোনকিছু অনুসরণ করে না। তাই কোরআনে চুল-দাঁড়ি-গোঁফ রাখা হারাম উল্লেখ নেই বিধায় এরা চুল-দাঁড়ি-গোঁফ রাখে। আর এইজন্যই বাতিল সকল দলই তাদের সাথে বিরোধ করে। তাদের আরেকটি পরিচয় হচ্ছেÑ তারা প্রভুর প্রেমিক বিধায় তারা বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে কীর্তন করে প্রভুর প্রেম নিবেদন করে। এই কারণে বাতিল পন্থিরা যারা বাদ্যযন্ত্র হারাম মনে করে তাদের সাথে বিরোধ করে। সঠিক দলের আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তারা আল্লাহকে গুরু বলে কারণ আল্লাহর গুণবাচক নাম গুরু (৫৫:৪)। তারা যেহেতু নিঃস্বার্থভাবে প্রভুর ইবাদত করে তাই পরস্পরের সাথে দেখা হলে প্রভুর জয় কামনা করে বিধায় তারা জয়গুরু বলে। এই কারণে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট সকল দল তাদের সাথে বিরোধ করে। যেহেতু একটি দল সঠিক তাই পরস্পর বিরোধী সকল দলই যে একটি দলের সাথে বিরোধ করে মূলত তারাই সঠিক। আবার অধিকাংশ লোকই তাদের সাথে বিরোধ করে। আর অধিকাংশ লোক কিন্তু আল্লাহর পথে নেই এই মর্মে আল্লাহ বলেন, যদি তুমি অধিকাংশ লোকের কথা মতো চল তাহলে ওরা তোমাকে আল্লাহর পথ হইতে বিচ্যুতি ঘটাবে (৬:১১৬)। আর অধিকাংশ লোকই আল্লাহর সাক্ষাত অস্বীকারকারী (৩০:৮)। তাই সঠিক দলের লোকসংখ্যা সবসময়ই কম থাকে।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
থাকে। আল্লাহ সম্পর্কে ধারাণা, কল্পনা, অনুমান গ্রহণযোগ্য নহে আল্লাহ সত্ত্বাই প্রকৃত সত্য। আর সত্য সম্পর্কে ধারণা, কল্পনা, অনুমান মোটেও ফলপ্রসু নহে (১০:৩৬)। আর তাই আল্লাহ সম্পর্কে যখন কেউ কল্পনা করে তখন তার মস্তিষ্কে আল্লাহর একটা কাল্পনিক রূপ সৃষ্টি হয়। সেই কাল্পনিকরূপটা আল্লাহর সম্পর্কে উপমা বা মেসেল হিসাবে গণ্য হয়। কারণ আপনি আল্লাহ সম্পর্কে যেমনটা কল্পনা করেছেন আল্লাহ তো তেমনটা নহে। বরং আল্লাহ তো আল্লাহর মতো। এইজন্য আল্লাহ সম্পর্কে মুস্তিষ্কের কাল্পনিক রূপটা একটি মেসেল বা উপমা হিসেবে গণ্য হয়। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ সম্পর্কে কোন মেসেল বা উপমা গ্রহণযোগ্য নহে (১৬:৭৪)। যারা প্রভুর সাক্ষাৎ দর্শন লাভ করেন নাই তাদের মনমস্তিষ্কে আল্লাহ সম্পর্কে একটি কাল্পনিক রূপ সৃষ্টি হবেই। এটা মস্তিষ্কের বৈশিষ্ট্য। এহেন অবস্থা থেকে মুক্তি উপায় উপায় হচ্ছে রসুল সুরতে প্রভুর দর্শন লাভ করা। তাই সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে সেখানে বায়াত গ্রহণ করে আদমকাবায় সেজদা দিয়ে ইবলিশ মুক্ত হয়ে রসুল সুরতে আল্লাহ দর্শন করাই মানবমুক্তির একমাত্র উপায়।
@MOKBULMOLLIK-nz9np16 күн бұрын
তোমার প্রভুর ঠিকানা সাব্যস্ত কর মৃত্যুর পরে পুনঃজীবিত করে আল্লাহর ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হবে (৬ঃ৩৬)। তাই আল্লাহ বলেন, সেই দিবস আসবে সত্য। অতএব তোমার প্রভুর একটি ঠিকানা সাব্যস্ত কর (৭৮:৩৯)। অনেকে এই আয়াতটিকে আত্মসমর্পন করা অর্থে ব্যবহার করে। কেহ কেহ এই আয়াতটিকে প্রভুর উপাসনা করা অর্থে ব্যবহার করে। কেহ কেহ এই আয়াতটি প্রভুর আনুগত্য অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহার করে। কিন্তু দেখা যায় আত্মসমর্পণ করার জন্য অন্য একটি আয়াত আসছে (২:২০৮)। এই আয়াতে ইসলাম শব্দ এসেছে। পক্ষান্তরে (৭৮:৩৯) আয়াতে ইসলাম শব্দ আসে নাই আসছে ম্-াআবি শব্দ। তাহলে দুইটি আয়াতে দুইটি শব্দ দুইটি আয়াতের উদ্দেশ্য ও দুইটি। এখন যদি কেউ (৭৮:৩৯) আয়াতটির অর্থ আত্মসমর্পন অর্থে ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে (৭৮:৩৯) আয়াতটির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। আর আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করা চেষ্টা করলে তার জন্য জাহান্নাম (২২:৫১)। তাছাড়া (৭৮:৩৯) আয়াতে উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আবাসস্থল বা ঠিকানা। এখানে উল্লেখ্য যে, (৭৮:২২) আয়াতেও ম্-াআবি শব্দ এসেছে সেক্ষেত্রে আয়াতটির অর্থ এসেছে অপরাধীদের আবাস স্থল হচ্ছে জাহান্নাম। এই আয়াতে ম্-াআবি শব্দের অর্থ আবাসস্থল বা ঠিকানা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে (৭৮:৩৯) আয়াতের ম্-াআবি শব্দের অর্থটি ঠিকানা অর্থে ব্যবহার করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই (৭৮:৩৯) আয়াতে উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দটিকে ক্রিয়া অর্থে ব্যবহার করে। আবার (৭৮:২২) আয়াতের ম্-াআবি শব্দটি বিশেষ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আর ম্-াআবি শব্দটা প্রকৃত পক্ষে বিশেষ্য। সেক্ষেত্রে যদি কেহ (৭৮:৩৯) আয়াতের উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দটা ক্রিয়া অর্থে ব্যবহার করে তাহলে সেটা ব্যাকরণ শাস্ত্রের পরিপন্থী হবে বিধায় (৭৮:৩৯) আয়াতটিকে ক্রিয়াপদ অর্থে ব্যবহার না করে বিশেষ্য পদ অর্থে ব্যবহার করাই উত্তম। তাহলে আয়াতটির প্রকৃত অর্থ দাড়ায় তোমার প্রভুর একটি ঠিকানা সাব্যস্ত কর। আর এজন্য আল্লাহ বলেন ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস তাহলে রসুলের অনুসরন কর (৩:৩১)। আবার আল্লাহ বলেন, রসুলের কাছে বাইয়াত হওয়া তো আল্লাহর কাছে বাইয়াত হওয়া, রসুলের হাতে হাত রাখা তো আল্লাহর হাতে হাত রাখা। কারণ রসুলের হাতের উপর আল্লাহর হাত (৪৮:১০)। এখন যদি কেহ আল্লাহর ঠিকানা পেতে চাই তাহলে তাকে রসুলের ঠিকানা লাভ করতে হবে। কারণ রসূলই হচ্ছে আল্লাহর ঠিকানা। যার বর্তমান রসুল নাই তার আল্লাহর ঠিকানাও নাই। অতএব সম্যকগুরু রসুলগণকেই আল্লাহর ঠিকানা হিসেবে বিশ্বাস করে (৭৮ঃ৩৯) নং আয়াতটি পালন করতে হবে।
সুরাঃ২, আয়াত ৭৮ - তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। সুরঃ ২,আয়াত ৭৯ - অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে। সুরাঃ৩, আয়াত ৭৮ - আর নিশ্চয়ই তাহাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যাহারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাহাতে তোমরা উহাকে আল্লাহ্র কিতাবের অংশ মনে করেঃ কিন্তু উহা কিতাবের অংশ নহে এবং তাহারা বলে, 'উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে', কিন্তু উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে প্রেরিত নহে। তাহারা জানিয়া-শুনিয়া আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে। সুরাঃ৩১ আয়াত-৬ - মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্র পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
@user-nu2lf8yb6s Жыл бұрын
হুজুরের কন্ট্রাক নাম্বার কিভাবে পাব
@bestboyshahin Жыл бұрын
ইলেমের সাগর, আল্লাহর দান
@mdnujrul2745 Жыл бұрын
Nice Allah hojorki nekhayat dankoron
@skshahadat5990 Жыл бұрын
Subahanallah alhamdulillah lailahaillalahu allahu Akbar allahuma amin
@mdshfiulalam2664 Жыл бұрын
MasahAllah Alhamdulillah Chumma Alhamdulillah
@habib7641 Жыл бұрын
আল্লাহ হুজুরের কথামতো সবাইকে আমল করার তৌউফিক দিন আমিন
@tohuraakhter342 Жыл бұрын
Akta mayer jonno j koto boro neyamot tar sami seta akhon buji se j koto boro bot gas sobai duya korben Allah jeno amar sami k valo kore den
Пікірлер
দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে বিনিময় নেওয়ার কথা এবং মসজিদে ঈমামতি করে বিনিময় নেওয়ার কথা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ নেই আল্লাহ বলেন, তোমরা অনুসরণ কর তাদের যারা কোন বিনিময় নেয় না, অথচ তারা সত্য পথে আছে (৩৬ঃ২১)। অতএব মসযিদের ঈমাম যখন বেতনভুক্ত তখন তাকে অনুসরণ করা কোরআন সম্মত নয়। আর কিছু লোক এমন আছে দ্বীন প্রচার করার দায়িত্ব প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও তারা দ্বীন প্রচার করতে যায়। আর সেক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত বা অংশ গোপন রাখে যেমন আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদার কথা কোরআনে উল্লেখ থাকার পরও ঐ সেজদার রহস্য ব্যক্ত করে না। উহারা সত্য গোপন করে বিনিময় কিছু পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াতকে গোপন করে তাদেরকে আমি লানত করি (২ঃ১৫৯)। আর আয়াত গোপন করার শর্তে তাহারা কিছু বিনিময় নিয়ে মনগড়া কিচ্ছা কাহিনী বলে ওয়াজ করে টাকা চুক্তির মাধ্যমে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াত গোপন করে বিনিময় নেয় তাদের নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতিত কিছুই পুরে না (২ঃ১৭৪)। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না (২ঃ১৭৪)। আর তাদেরকে আল্লাহ কখনও পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে (২ঃ১৭৪) আর উহারাই সৎ পথ হতে ভ্রান্ত পথে আছে (২ঃ১৭৫) এবং উহারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে আর আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতইনা ধৈর্য্যশীল (২ঃ১৭৫)। কাজেই যারা চুক্তি ভিত্তিক ওয়াজ করা নামধারী আলেম, যাহারা এহেন বিনিময় গ্রহণ করে উহারা যেহেতু ভ্রান্ত পথে আছে, আর তাদের মতবাদও ভ্রান্ত মতবাদ, আর তাদের বিষয়ে এত আজাব গজবের কথা কোরআনে উল্লেখ করার পরও উহারা জেনে শুনেই সেগুলি করে ফলে তাহারা মুর্খ। আর মূর্খদেরকে পরিহার কর (৭ঃ১৯৯) তাদের মতবাদও পরিহারযোগ্য।
আল্লাহ পাক আদম আ: সালামকে কেন সেছদা দিতে বলেছিলেন? আদম সেজদার রহস্য কি? ইউসুফ নবীকে তার 11 ভাই ও মাতা পিতা কেন সেজদা করে ছিলেন?
পবিত্র কোরআন থেকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা (২য় খন্ড) দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলগণই একমাত্র ইমাম বা নেতা এবং আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে সেদিন রসূলগণই একমাত্র সুপারিশকারী রসূলগণ ব্যতীত অন্য কাউকে ইমাম বা নেতা হিসেবে আনুগত্য করার কথা কোরআনে উল্লেখ নেই। আবার রসূলগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে ইমাম বা নেতা হিসেবে আনুগত্য করলে সেই আনুগত্য রসূলের হবে এমনও কোনো আয়াত কোরআনে নেই। বিধায় সেই সকল ইমামগণের আনুগত্য একত্ববাদে আসছে না। যে সকল ইমামগণ রসূল নহে এজন্য দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলগণের আনুগত্যের পরেও যারা এমন কোনো ব্যক্তিকে ইমাম সাব্যস্ত করে তাদের আনুগত্য করল, সে আনুগত্য আল্লাহর খতিয়ানভুক্ত হয় না। বিধায় উক্ত ইমামগণের আনুগত্য করা দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ত্বের সামিল হয় বিধায় সেই সকল ইমামগণের আনুগত্য একত্ববাদে গণ্য হচ্ছে না। পক্ষান্তরে রসূলের আনুগত্য করলে সে আনুগত্য আল্লাহর হচ্ছে (সূরা-নেছা, আয়াত-৮০)। আর তাই দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলের আনুগত্য করাকে একত্ববাদে আনা যাচ্ছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে একমাত্র রসূল ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে দ্বীনের ইমাম সাব্যস্ত করে আনুগত্য করলে একত্ববাদে আসছে না। বিধায় দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহ বিশ্বাস কর ও রসূল বিশ্বাস কর, তিন বলিওনা (সূরা-নেছা, আয়াত-১৭১)। আর মুশরিকরা বা তিন তত্ত্বে বিশ্বাসীগণ বলেন "আল্লাহতো তিনের মধ্যে একজন।" (সূরা-মায়েদা, আয়াত- ৭৩)। এই দুই আয়াত অনুসারে দ্বীনের ক্ষেত্রে ত্রী-তত্ব শেরেকে গণ্য হবে বিধায় যারা দ্বীনের ক্ষেত্রে একমাত্র রসূল ব্যতীত ৩য় কোনো ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে তার অনুগত্য করলে সেটা অবশ্যই শেরেকে গণ্য হবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যেহেতু রসূল ব্যতীত কেউ আনুগত্য পাওয়ার অধিকারী নয়, বিধায় সেদিন একমাত্র রসূলগণই ইমাম বা নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন। কারণ দ্বীনের ক্ষেত্রে যিনি আনুগত্য পাওয়ার অধিকারী নয় এমন কোনো ব্যক্তি সেদিন ইমাম বা নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই রসূলগণই একমাত্র ইমাম এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই কারণে যারা রসুল নহে এমন ব্যক্তিকে দ্বীনের ক্ষেত্রে ইমাম সাব্যস্ত করে তার আনুগত্য, অনুসরণ করলে সেটা শেরেকে গণ্য হবে। আর তাই সেদিন প্রত্যেক মানুষ সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে ইমাম বা নেতাগণকে উপস্থিত করা হবে। (সূরা-বনি ইসরাইল, আয়াত- ৭১)। রসূলগণই সেদিন ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন। এই জন্য আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক উম্মতের বা সম্প্রদায়ের কাছে আমি রসুল পাঠাই। (সূরা ইউনুস : ৪৭) পূর্ব অধ্যায়ের আলোচনার মতে সম্যক গুরুগণই রসূল। অর্থাৎ যার যার গুরু তার তার রসূল, আর সেই রসূলগণকেই সেদিন আল্লাহ ইমাম বা নেতা হিসেবে আহ্বান করবেন। আর এই রসূলগণই সেদিন সাক্ষীগণের দায়িত্ব পালন করবেন। সেই লক্ষ্যে সেদিন নবীগণ ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে। (সূরা যুমার : ৬৯) এই আয়াতে স্বাক্ষীগণ বলতে সম্যক গুরুগণ অর্থাৎ রসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। আর নবীগণ তাদের সঙ্গীদের তথা সাহাবীদের বিষয়ে সাক্ষীদাতা হবেন। আর তার সাহাবীরা (রিসালাতপ্রাপ্ত) সাক্ষদাতা হবেন তার পরবর্তী মানুষের জন্য। (সূরা-হজ, আয়াত-৭৮)। আর নবী (স.)-কে আনা হবে রসূলগণের সাক্ষ্যকে যাচাই করার জন্য (সূরা-নাহল, আয়াত-৮৯)। অর্থাৎ রিসালাতের ধারাবাহিকতা সঠিক কিনা তা যাচাই করবেন নবী মোহাম্মদ (স.)। যাদের রেসালাতের ধারাবাহিকতা নবী (স.) দ্বারা সঠিক বলে সনাক্ত হবেন, সেই সকল গুরুগণ অর্থাৎ রসূলগণ আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তার অনুসারিদেরকে সুপারিশ করবেন। আল্লার অনুমতি ব্যতীত কেউ সুপারিশ করতে পারবেন না (সূরা-ইউনুস, আয়াত- ৩)। আল্লার অনুমতি ব্যতীত কেউ কোনো কথা বলতে পারবেন না। সকল সুপারিশ একমাত্র আল্লাহরই নিকট। (সূরা-জুমার, আয়াত-৪৪)। আল্লাহ ছাড়া কোনো সুপারিশকারী নেই। (সূরা-সেজদা, আয়াত-৪) আল্লার অনুমতি ব্যতীত কাহারো সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না। (সূরা-সাবা, আয়াত-২৩ )। যারা রসূলের আনুগত্য করে নেই তারা ইবলিসের অনুসারী বলে গণ্য, আর তাই তাদেরকে আল্লাহ পছন্দ করে না, আর পছন্দ করে না বিধায় তাদেরকে সুপারিশের কোনো অনুমতি দিবেন না। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন ও আল্লাহ যার কথা পছন্দ করে সে ব্যতীত কাহারো সুপারিশ কোনো কাজে আসবে না। (সূরা-ত্বাহা, আয়াত-১০৯)। সাফায়েত প্রাপ্তির জন্য সম্যক গুরুর নিকট তথা রসূলের নিকট দ্বীনের আনুগত্যের বায়াত গ্রহণই একমাত্র পথ।
দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে বিনিময় নেওয়ার কথা এবং মসজিদে ঈমামতি করে বিনিময় নেওয়ার কথা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ নেই আল্লাহ বলেন, তোমরা অনুসরণ কর তাদের যারা কোন বিনিময় নেয় না, অথচ তারা সত্য পথে আছে (৩৬ঃ২১)। অতএব মসযিদের ঈমাম যখন বেতনভুক্ত তখন তাকে অনুসরণ করা কোরআন সম্মত নয়। আর কিছু লোক এমন আছে দ্বীন প্রচার করার দায়িত্ব প্রাপ্ত না হওয়া সত্ত্বেও তারা দ্বীন প্রচার করতে যায়। আর সেক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের বিশেষ বিশেষ আয়াত বা অংশ গোপন রাখে যেমন আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদার কথা কোরআনে উল্লেখ থাকার পরও ঐ সেজদার রহস্য ব্যক্ত করে না। উহারা সত্য গোপন করে বিনিময় কিছু পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াতকে গোপন করে তাদেরকে আমি লানত করি (২ঃ১৫৯)। আর আয়াত গোপন করার শর্তে তাহারা কিছু বিনিময় নিয়ে মনগড়া কিচ্ছা কাহিনী বলে ওয়াজ করে টাকা চুক্তির মাধ্যমে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা আমার আয়াত গোপন করে বিনিময় নেয় তাদের নিজেদের জঠরে অগ্নি ব্যতিত কিছুই পুরে না (২ঃ১৭৪)। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না (২ঃ১৭৪)। আর তাদেরকে আল্লাহ কখনও পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে (২ঃ১৭৪) আর উহারাই সৎ পথ হতে ভ্রান্ত পথে আছে (২ঃ১৭৫) এবং উহারা ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করিয়াছে আর আগুন সহ্য করিতে তাহারা কতইনা ধৈর্য্যশীল (২ঃ১৭৫)। কাজেই যারা চুক্তি ভিত্তিক ওয়াজ করা নামধারী আলেম, যাহারা এহেন বিনিময় গ্রহণ করে উহারা যেহেতু ভ্রান্ত পথে আছে, আর তাদের মতবাদও ভ্রান্ত মতবাদ, আর তাদের বিষয়ে এত আজাব গজবের কথা কোরআনে উল্লেখ করার পরও উহারা জেনে শুনেই সেগুলি করে ফলে তাহারা মুর্খ। আর মূর্খদেরকে পরিহার কর (৭ঃ১৯৯) তাদের মতবাদও পরিহারযোগ্য।
নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কোরআন মাফিক ফয়সালা অনেকেই বলে, নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে রসূলের সুন্না তথা হাদীসকে দীনের দলিল হিসাবে রেখে গেছেন। তাদের এই কথা ঠিক নহে। কারণ নবী (সঃ) দ্বীনের ক্ষেত্রে একটি কথাও নিজের তরফ থেকে বা মনগড়াভাবে বলেন নাই (৫৩ঃ৩)। তাঁহার প্রতি যাহা ওহী নাযিল হইত দ্বীনের ক্ষেত্রে তিনি শুধু তাহাই ব্যক্ত করেন (৫৩ঃ৪)। তিনি কোন কিছু আল্লাহর নামে বানাইয়া বলেন নাই (৬৯ঃ৪৪)। যদি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানাইয়া বলিতেন তাহলে আল্লাহ তার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতেন (৬৯ঃ৪৫) এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়া দিতেন (৬৯ঃ৪৬)। তাছাড়া তিনি ওহী ব্যতিত দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে সতর্ক করেন নাই (২১ঃ৪৫)। আর নবী (সঃ) ওহী ব্যতিত কোনকিছু অনুসরণও করেন নাই (৬ঃ৫০) আর আল্লাহ তো নবী (সা.)-এর জন্য এই কোরানকে বিধান হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন (২৮ঃ৮৫)। আর নবী (সঃ)-কে আল্লাহ বলেন, তুমি ওহিকে অবলম্বন কর (৪৩ঃ৪৩) আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমাণের উপর অর্থাৎ ওহীর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল (৬ঃ৫৭)। কারণ দ্বীনের বিষয়ে কোরআনই পরিপূর্ণ দলিল (৫ঃ৩)। কারণ সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর কথাই পরিপূর্ণ (৬ঃ১১৫)। অতএব, দ্বীনের বিষয়ে যারা কোরআন মাফিক বিধান দেয় না তারা যালিম, ফাসিক ও কাফির (৫ঃ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই নবী (সঃ) কোরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই। তবে এক শ্রেণীর লোক নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণকে বিকৃতভাবে বর্ণনা করেছে। বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) সেই দুইটি বিষয়ের কথাই উল্লেখ করে বলেছেন, যে দুইটি বিষয় সূরা মায়েদার ৪৮ নং আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে জানাইয়া দিয়াছেন। লিবুল্লী যাআলনা মিনকুম শির আতা ওয়া মিনহাজা। এখানে উল্লেখ্য যে, শির আতা অর্থ ধর্মীয় আইন (আরবী অভি. পৃ. নং-১৫২০)। মিনহাজার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে প্রকাশ্য রাস্তা (আরবী অভি. পৃ. নং- ২৩১২)। উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছেÑ প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি ধর্মীয় আইন (কুরআন) এবং (আল্লাহ প্রাপ্তির) প্রকাশ্য রাস্তা। অর্থাৎ এই দুইটি বিষয় হচ্ছে (১) আল্লাহর বিধান যেটা কিতাবউল্লাহ, অর্থাৎ এই কোরআন। (২) অপরটি হচ্ছে মিনহাজা। অর্থাৎ আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ। যে পথের মধ্যে ডযড় রং ঃযব অষষধয এর অহংবিৎ নিহিত আছে। যে পথটা বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শনের যুগেও মানুষের কাছে অজানা। আর আল্লাহ বলেন, অজানা বিষয়টি রসূল তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন (২ঃ১৫১)। এই জন্য মোমিনদের মধ্য থেকেই মোমিনদের কাছে রসূল পাঠাই (৩ঃ১৬৪)। এইজন্য প্রত্যেক নবীর কাছথেকে এই মর্মে অঙ্গীর নিয়েছেন তোমার (শেষাংশে) কাছে একজন রসূল যাবে, তাকে তুমি রিশ্বাস করবে এবং (রিসালাত দিয়ে) সাহায্য করবে (৩ঃ৮১)। এই অঙ্গিকার অনুসারে প্রত্যেক নবীর শেষাংশে বিশ্বস্তদের মধ্যথেকে একজনকে রেসালাতের ভার দিয়ে রসূল হিসাবে রেখে গেছেন। যার মধ্যে আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ নিহিত আছে। অতএব বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) দুটি বিষয় রেখে গেছেন (১) কিতাবুল্লাহ অর্থাৎ কোরান (২) রসুল যেটা আল্লাহ প্রাপ্তির স্পষ্ট পথ যেটা মিনহাযা বলে উল্লেখ করা হযেছে। অতএব বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) কোরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।
নবী মোহাম্মদ (সা.) স্বরূপে সেজদাকারী ছিলেন নবী (সা.) কোরআনের সকল আয়াত মেনে চলেছেন (৬:৫০) এবং নবী (সা.) সাহাবীগণও নবী (সা.)কে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আল্লাহ বলেন প্রত্যেক সেজদায় তোমাদের চেহারাকে প্রতিষ্ঠিত কর (৭:২৯)। এই আয়াত অনুসারে প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.) তাঁর নিজের চেহারা সুরতটা প্রতিষ্ঠিত রেখে ঐ চেহারাই প্রভুর চেহারা বিশ্বাস করে সেজদা দিয়েছে এবং তিনি নিজের চেহারা সুরতে তার প্রভুকে দেখেছিল যখন তার প্রভু তার নিজ আকৃতি ধারণ করে তার দর্শন দিয়েছিল (৫৩:৬)। নবী (সা.)-এর যেহেতু দেহগতভাবে মানুষই ছিলেন (১৮:১১০) সেহেতু নবী (সা.) এর আকৃতিগত চেহারায় আদমের আকৃতিগত চেহারার অনুকরণে তৈরি। সেহেতু ফেরেস্তারা যেমনভাবে আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েছিল (১৫:২৯) (৩৮:৭২) ঠিক তেমনই নবী (সা.) যখন তার নিজের চেহারায় প্রভুকে সেজদার সময় দৃষ্টিতে স্থির করেছিল সেহেতু তিনি মূলত আদম চেহারায় সেজদারকারীর সামিল বলে গণ্য। আর তখনই নবী (সা.)-এর সাথে ইবলিশ ঐ সেজদায় সামিল হয় নাই বিধায় তিনি ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিল। কারণ ইবলিশ তো আদম চেহারায় সেজদার সামিল হবে না (১৫:৩৩)। আর নবী (সা.) এর সাহাবীরাও প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.)এর চেহারা তাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত করেই তাদের প্রভুকে সেজদা করেছে। কারণ প্রত্যেক সাহাবীগণই নবী (সা.)কে প্রত্যেক বিষযে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আর তাই সেজদার বিষয়ে নবী (সা.) যে চেহারাই সেজদা দিয়েছে তার সাহাবীরাও সেই চেহারাই সেজদা দিয়েছে বিধায় নবী (সা.) এর সকল সাহাবীগণ নবী (সা.) চেহারা সেজদার সময় যাজন করেছিলেন। তাই তারা মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না (৬:৭৯)। সাহাবীরাও আদমকাবায় সেজদার সামিল বলে গণ্য ছিলেন বিধায় তারাও ঐ একই প্রক্রিয়াই বা একইভাবে ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিলেন বিধায় আমাদেরকেও আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েই ইবলিশ থেকে পবিত্র হতে হবে। এরজন্য একজন সম্যক গুরু তথা রসুল দরকার। আর সেই রসুল তোমাকে পবিত্র করবেন (২:১৫১)। এখানে উল্লেখ যে অনেকে মনে করতে পারেন যে, সেজদার সময় তোমাদের চেহারা বলতে সাহাবীরা নিজের চেহারা সেজদার সময় প্রতিষ্ঠিত করেছে কথাটা ঠিক নহে। কারণ এখানে স্বরূপে সেজদা কর বলতে যে চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ সেই চেহারাটাকেই বুঝানো হয়েছে। আর তাই নবী (সা.)-এর চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ তিনি নবী। আর প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে নবুয়ত প্রাপ্ত (৩:৭৯) এবং প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে রেসালাত প্রাপ্ত (৭২:২৩)। তাই প্রত্যেক নবীর চেহারাই সেজদাযোগ্য স্বরূপ। যেমন আদম (আ.) এর চেহারা আদমের ক্ষেত্রে সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ আদম ছিলেন রেসালাত প্রাপ্ত (২:৩০)। কিন্তু ফেরেস্তাদের চেহারা সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে। কারণ ফেরেস্তারা খেলাফত প্রাপ্ত নহে। এইজন্য যাহারা রেসালাত প্রাপ্ত বা খেলাফত প্রাপ্ত নহে তাদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে বিধায় সাহাবীদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরপ নহে বিধায় প্রত্যেক সাহাবীই নবী (সা.) এর চেহারায় সেজদা সময় প্রতিষ্ঠতি করেছে।
দ্বীনের ক্ষেত্রে সঠিক দল কোনটি সঠিক দ্বীন থেকে সরে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে (৩০:৩২)। বহু দলে মানুষ বিভক্ত হলেও একটি মাত্র দলই জান্নাতে যাবে। অর্থাৎ যে দলটা সঠিক সেই দলটিই জান্নাতে যাবে। আর বাতিল দলগুলির মধ্যে বিরোধ থাকবে। তাই সঠিক দলটি চেনার উপায় হচ্ছে যে দলের সাথে অন্যান্য সকল দলের বিরোধ সেই দলটিই সঠিক। দ্বীনের ক্ষেত্রে পরস্পর বিরোধী যতগুলি দল আছে সেই দলগুলিই সকলে যে দলটির সাথে বিরোধ করে মূলত সেই দলটিই সঠিক। কারণ সেই দলের মধ্যে ইবলিশ নেই, বাকি সকল দলের মধ্যেই ইবলিশ আছে। ইবলিশ নেই এমন দলের সংখ্যা একটা। যে দলের মধ্যে ইবলিশ নেই সেই দলের পরিচয় হচ্ছে তারা আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা করে। কারণ ইবলিশ আদমকাবায় সেজদায় সামিল হবে না (১৫:৩৩)। কারণ ইবলিশ আদমকে সেজদা না দিয়ে কাফের (২:৩৪)। আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা না করে তারা রসুল সুরতে আল্লহার দর্শন লাভ করে নাই। ফলে তাদের কাছে আল্লাহ অদেখা আর অদেখা বিষয়টি স্মরণযোগ্য নয় বিধায় তারা আল্লাহর স্মরণে ব্যর্থ। তাই তাদের মন মস্তিষ্কে রসুল সুরতে আল্লাহর স্মরণ থাকে না। তাহলে তারা আল্লাহর স্মরণে গাফেল থাকে এজন্য তাদের সাথে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট থাকে (৪৩:৩৬)। তাই ইবলিশ থেকে মুক্ত হতে হলে আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিতে হবে। আর এই সেজদার কারণে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট সকল দলই তাদের সাথে বিরোধ করে। তাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা কোরআন অনুসরণ করে। কোরআনের বাইরে তারা কোনকিছু অনুসরণ করে না। তাই কোরআনে চুল-দাঁড়ি-গোঁফ রাখা হারাম উল্লেখ নেই বিধায় এরা চুল-দাঁড়ি-গোঁফ রাখে। আর এইজন্যই বাতিল সকল দলই তাদের সাথে বিরোধ করে। তাদের আরেকটি পরিচয় হচ্ছেÑ তারা প্রভুর প্রেমিক বিধায় তারা বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে কীর্তন করে প্রভুর প্রেম নিবেদন করে। এই কারণে বাতিল পন্থিরা যারা বাদ্যযন্ত্র হারাম মনে করে তাদের সাথে বিরোধ করে। সঠিক দলের আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তারা আল্লাহকে গুরু বলে কারণ আল্লাহর গুণবাচক নাম গুরু (৫৫:৪)। তারা যেহেতু নিঃস্বার্থভাবে প্রভুর ইবাদত করে তাই পরস্পরের সাথে দেখা হলে প্রভুর জয় কামনা করে বিধায় তারা জয়গুরু বলে। এই কারণে ইবলিশ সংশ্লিষ্ট সকল দল তাদের সাথে বিরোধ করে। যেহেতু একটি দল সঠিক তাই পরস্পর বিরোধী সকল দলই যে একটি দলের সাথে বিরোধ করে মূলত তারাই সঠিক। আবার অধিকাংশ লোকই তাদের সাথে বিরোধ করে। আর অধিকাংশ লোক কিন্তু আল্লাহর পথে নেই এই মর্মে আল্লাহ বলেন, যদি তুমি অধিকাংশ লোকের কথা মতো চল তাহলে ওরা তোমাকে আল্লাহর পথ হইতে বিচ্যুতি ঘটাবে (৬:১১৬)। আর অধিকাংশ লোকই আল্লাহর সাক্ষাত অস্বীকারকারী (৩০:৮)। তাই সঠিক দলের লোকসংখ্যা সবসময়ই কম থাকে।
থাকে। আল্লাহ সম্পর্কে ধারাণা, কল্পনা, অনুমান গ্রহণযোগ্য নহে আল্লাহ সত্ত্বাই প্রকৃত সত্য। আর সত্য সম্পর্কে ধারণা, কল্পনা, অনুমান মোটেও ফলপ্রসু নহে (১০:৩৬)। আর তাই আল্লাহ সম্পর্কে যখন কেউ কল্পনা করে তখন তার মস্তিষ্কে আল্লাহর একটা কাল্পনিক রূপ সৃষ্টি হয়। সেই কাল্পনিকরূপটা আল্লাহর সম্পর্কে উপমা বা মেসেল হিসাবে গণ্য হয়। কারণ আপনি আল্লাহ সম্পর্কে যেমনটা কল্পনা করেছেন আল্লাহ তো তেমনটা নহে। বরং আল্লাহ তো আল্লাহর মতো। এইজন্য আল্লাহ সম্পর্কে মুস্তিষ্কের কাল্পনিক রূপটা একটি মেসেল বা উপমা হিসেবে গণ্য হয়। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ সম্পর্কে কোন মেসেল বা উপমা গ্রহণযোগ্য নহে (১৬:৭৪)। যারা প্রভুর সাক্ষাৎ দর্শন লাভ করেন নাই তাদের মনমস্তিষ্কে আল্লাহ সম্পর্কে একটি কাল্পনিক রূপ সৃষ্টি হবেই। এটা মস্তিষ্কের বৈশিষ্ট্য। এহেন অবস্থা থেকে মুক্তি উপায় উপায় হচ্ছে রসুল সুরতে প্রভুর দর্শন লাভ করা। তাই সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে সেখানে বায়াত গ্রহণ করে আদমকাবায় সেজদা দিয়ে ইবলিশ মুক্ত হয়ে রসুল সুরতে আল্লাহ দর্শন করাই মানবমুক্তির একমাত্র উপায়।
তোমার প্রভুর ঠিকানা সাব্যস্ত কর মৃত্যুর পরে পুনঃজীবিত করে আল্লাহর ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হবে (৬ঃ৩৬)। তাই আল্লাহ বলেন, সেই দিবস আসবে সত্য। অতএব তোমার প্রভুর একটি ঠিকানা সাব্যস্ত কর (৭৮:৩৯)। অনেকে এই আয়াতটিকে আত্মসমর্পন করা অর্থে ব্যবহার করে। কেহ কেহ এই আয়াতটিকে প্রভুর উপাসনা করা অর্থে ব্যবহার করে। কেহ কেহ এই আয়াতটি প্রভুর আনুগত্য অনুসরণ করা অর্থে ব্যবহার করে। কিন্তু দেখা যায় আত্মসমর্পণ করার জন্য অন্য একটি আয়াত আসছে (২:২০৮)। এই আয়াতে ইসলাম শব্দ এসেছে। পক্ষান্তরে (৭৮:৩৯) আয়াতে ইসলাম শব্দ আসে নাই আসছে ম্-াআবি শব্দ। তাহলে দুইটি আয়াতে দুইটি শব্দ দুইটি আয়াতের উদ্দেশ্য ও দুইটি। এখন যদি কেউ (৭৮:৩৯) আয়াতটির অর্থ আত্মসমর্পন অর্থে ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে (৭৮:৩৯) আয়াতটির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। আর আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করা চেষ্টা করলে তার জন্য জাহান্নাম (২২:৫১)। তাছাড়া (৭৮:৩৯) আয়াতে উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আবাসস্থল বা ঠিকানা। এখানে উল্লেখ্য যে, (৭৮:২২) আয়াতেও ম্-াআবি শব্দ এসেছে সেক্ষেত্রে আয়াতটির অর্থ এসেছে অপরাধীদের আবাস স্থল হচ্ছে জাহান্নাম। এই আয়াতে ম্-াআবি শব্দের অর্থ আবাসস্থল বা ঠিকানা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে (৭৮:৩৯) আয়াতের ম্-াআবি শব্দের অর্থটি ঠিকানা অর্থে ব্যবহার করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই (৭৮:৩৯) আয়াতে উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দটিকে ক্রিয়া অর্থে ব্যবহার করে। আবার (৭৮:২২) আয়াতের ম্-াআবি শব্দটি বিশেষ্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আর ম্-াআবি শব্দটা প্রকৃত পক্ষে বিশেষ্য। সেক্ষেত্রে যদি কেহ (৭৮:৩৯) আয়াতের উল্লেখিত ম্-াআবি শব্দটা ক্রিয়া অর্থে ব্যবহার করে তাহলে সেটা ব্যাকরণ শাস্ত্রের পরিপন্থী হবে বিধায় (৭৮:৩৯) আয়াতটিকে ক্রিয়াপদ অর্থে ব্যবহার না করে বিশেষ্য পদ অর্থে ব্যবহার করাই উত্তম। তাহলে আয়াতটির প্রকৃত অর্থ দাড়ায় তোমার প্রভুর একটি ঠিকানা সাব্যস্ত কর। আর এজন্য আল্লাহ বলেন ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস তাহলে রসুলের অনুসরন কর (৩:৩১)। আবার আল্লাহ বলেন, রসুলের কাছে বাইয়াত হওয়া তো আল্লাহর কাছে বাইয়াত হওয়া, রসুলের হাতে হাত রাখা তো আল্লাহর হাতে হাত রাখা। কারণ রসুলের হাতের উপর আল্লাহর হাত (৪৮:১০)। এখন যদি কেহ আল্লাহর ঠিকানা পেতে চাই তাহলে তাকে রসুলের ঠিকানা লাভ করতে হবে। কারণ রসূলই হচ্ছে আল্লাহর ঠিকানা। যার বর্তমান রসুল নাই তার আল্লাহর ঠিকানাও নাই। অতএব সম্যকগুরু রসুলগণকেই আল্লাহর ঠিকানা হিসেবে বিশ্বাস করে (৭৮ঃ৩৯) নং আয়াতটি পালন করতে হবে।
❤❤❤❤❤
আলহামদুলিল্লাহ
মাশাআল্লাহ হুজুরের অসাধারণ আলোচনা
মাশাল্লাহ ❤️❤️❤️❤️✌️✌️❤️❤️❤️❤️🇧🇩
আল্লাহ হুজুরের হায়াতে বরকত দান করুন আমীন আমীন আমীন
চমৎকার আলোচনা
alhamdulillah
16:35
❤❤❤❤❤
Subhanallah
সুবহানআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার,,
আলহামদুলিল্লাহ
%
❤❤❤
আমি সরাসরি হুজুরের সাথে কথা বলতে চাই আমার আব্বার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে হুজুরকে দাওয়াত দিতে চাই
আলহামদুলিল্লাহ যে বেক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ ১ বার পাঠ করবে তার পিছনের গুনা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।
ما شاء الله جزاك الله خيراً بارك الله في حياتك وعملك وعلمك الشيخ المحترم ،ওমান থেকে
❤❤
আল্লামা আরিফ বিন হাবিব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ। আল্লামা খতিবুল উম্মাহ আল্লহর অলী হাফিজুর রহমান সিদ্দিকি জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ। সারা দেশে শুনতে পাই পীর সাহেব চরমোনাই জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।
আলহামদুলিল্লাহ আমার খুব মজা লাগে উনার ওয়াজ শুনলে
❤❤❤❤
❤❤❤❤
ঔদিন,আমার, আমার, আল্লাহর হুকুমে আমার, ঘর,দোলে, না,অন্য, কিছু, আমি, বুজিয়েননা,,,আমি, নামাজের বসা,ফজরের, সময়, এ,রুকুম,হইছে, সুকরুবারে,আমার, তো,গেয়ান, ছিলো,, ঘরটা, দোলার,কারণে আল্লাহর, ভয়ে, কান্না সুরু,করেছি, ৩ঘনটা,তখন, আমার, সঙ্গে কি,কি,হয়েচে,আল্লাহকে, বলি,কান্না, করতে, চি,আমি, আল্লাহকে, বলচি, আমি, কোনো, মানুষের, হক,নষ্ট, করিন,,,,আল্লাহর, হক,নষ্ট, হইছে,, আল্লাহকে, বিলিয়ের,আর,মাপ,,চাইয়ের,, কান্না করেছি,,,,,পরে, আমার, সামি,,আমার,, আপু,আসি,বলে, কি,হয়েছে,,, তোর,,, আমি, তখন, ওদের,কে,বলছি, তোরা, দাজজাল,,,তোরা, আমার, ইমান,,নষট,করতে,,, আইচসহ,,,, তোরা, বুজরি,না,আমি,, বুজিয়ের,আজকে, কেয়ামত, হবে,,,,, তখনই, আমি, সবাই,রে,বলছি,, তোরা, এখান থেকে, জা,,আমি, নতুন, জামা,গায়ে,দি,,হজ্জে,জাবো,,,তখনো, আমার, শরির,কাপের,,,,, তখন, হুজুর, আসে,,, আবার, আমাদের,,, হুজুরে,, কল,করে,,, আমার,, সাথে কথা বলে,,,, হুজুরে, বলে, হজ্জে,তো,জাবা,,,পাচ ফুড,,, লাগবে, তো,,,আমি,,, ঘর,আর,আমি,, কম্পন,, হবার,, কারণে,, এ রুকুম, করে,, চি,,,,,তাই, মনে হচ্ছে, আল্লাহর হুকুমে, রহমতে,,,কিছু,,, হয়েছে,,,,, তখন, থেকে,, আমি,,, মোবাইলে,,, সব,,লিখি,,,,,আমাকে,, ইতিহাস,,,,,, ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤আমিন ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
হুজুর, ঠিক, কথা, বলেচেন,,❤আমিন❤❤❤❤
Mashallah jajakallah Sheikh
Allahu akbar
❤❤❤
kzread.info/dron/B6Pj7xxFHDit7lONf4tf3Q.html
সুরাঃ২, আয়াত ৭৮ - তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। সুরঃ ২,আয়াত ৭৯ - অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে। সুরাঃ৩, আয়াত ৭৮ - আর নিশ্চয়ই তাহাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যাহারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাহাতে তোমরা উহাকে আল্লাহ্র কিতাবের অংশ মনে করেঃ কিন্তু উহা কিতাবের অংশ নহে এবং তাহারা বলে, 'উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে', কিন্তু উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে প্রেরিত নহে। তাহারা জানিয়া-শুনিয়া আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে। সুরাঃ৩১ আয়াত-৬ - মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্র পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি।
হুজুরের কন্ট্রাক নাম্বার কিভাবে পাব
ইলেমের সাগর, আল্লাহর দান
Nice Allah hojorki nekhayat dankoron
Subahanallah alhamdulillah lailahaillalahu allahu Akbar allahuma amin
MasahAllah Alhamdulillah Chumma Alhamdulillah
আল্লাহ হুজুরের কথামতো সবাইকে আমল করার তৌউফিক দিন আমিন
Akta mayer jonno j koto boro neyamot tar sami seta akhon buji se j koto boro bot gas sobai duya korben Allah jeno amar sami k valo kore den
Masa Allah Allah kobul korun amin amin
হে আল্লাহ তুমি হুজুরের নেক হায়াত দান করুন আমিন আমিন আমিন
মাশাআল্লাহ ❤️❤️❤️❤️❤️
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুক
নেক হায়াত দান কর