হাশরের মাঠে বড় বড় নবীদের অবস্থা arif bin habib 2023 আরিফ বিন হাবিব নতুন ওয়াজ ২০২৩ | qawmi media 24

হাশরের মাঠে বড় বড় নবীদের অবস্থা arif bin habib 2023 আরিফ বিন হাবিব নতুন ওয়াজ ২০২৩ | qawmi media 24
#আরিফ_বিন_হাবিব_নতুন_ওয়াজ_২০২৩
#mufti_arif_bin_habib_new_waz
#qawmi_media_24
#হাশরেরমাঠেবড়বড়নবীদেরঅবস্থা
#bd_waz_mahfil_2023

Пікірлер: 9

  • @MOKBULMOLLIK-nz9np
    @MOKBULMOLLIK-nz9np20 күн бұрын

    নবী মোহাম্মদ (সা.) স্বরূপে সেজদাকারী ছিলেন নবী (সা.) কোরআনের সকল আয়াত মেনে চলেছেন (৬:৫০) এবং নবী (সা.) সাহাবীগণও নবী (সা.)কে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আল্লাহ বলেন প্রত্যেক সেজদায় তোমাদের চেহারাকে প্রতিষ্ঠিত কর (৭:২৯)। এই আয়াত অনুসারে প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.) তাঁর নিজের চেহারা সুরতটা প্রতিষ্ঠিত রেখে ঐ চেহারাই প্রভুর চেহারা বিশ্বাস করে সেজদা দিয়েছে এবং তিনি নিজের চেহারা সুরতে তার প্রভুকে দেখেছিল যখন তার প্রভু তার নিজ আকৃতি ধারণ করে তার দর্শন দিয়েছিল (৫৩:৬)। নবী (সা.)-এর যেহেতু দেহগতভাবে মানুষই ছিলেন (১৮:১১০) সেহেতু নবী (সা.) এর আকৃতিগত চেহারায় আদমের আকৃতিগত চেহারার অনুকরণে তৈরি। সেহেতু ফেরেস্তারা যেমনভাবে আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েছিল (১৫:২৯) (৩৮:৭২) ঠিক তেমনই নবী (সা.) যখন তার নিজের চেহারায় প্রভুকে সেজদার সময় দৃষ্টিতে স্থির করেছিল সেহেতু তিনি মূলত আদম চেহারায় সেজদারকারীর সামিল বলে গণ্য। আর তখনই নবী (সা.)-এর সাথে ইবলিশ ঐ সেজদায় সামিল হয় নাই বিধায় তিনি ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিল। কারণ ইবলিশ তো আদম চেহারায় সেজদার সামিল হবে না (১৫:৩৩)। আর নবী (সা.) এর সাহাবীরাও প্রত্যেক সেজদার সময় নবী (সা.)এর চেহারা তাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত করেই তাদের প্রভুকে সেজদা করেছে। কারণ প্রত্যেক সাহাবীগণই নবী (সা.)কে প্রত্যেক বিষযে অনুসরণ করেছেন (৩:৩১)। আর তাই সেজদার বিষয়ে নবী (সা.) যে চেহারাই সেজদা দিয়েছে তার সাহাবীরাও সেই চেহারাই সেজদা দিয়েছে বিধায় নবী (সা.) এর সকল সাহাবীগণ নবী (সা.) চেহারা সেজদার সময় যাজন করেছিলেন। তাই তারা মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না (৬:৭৯)। সাহাবীরাও আদমকাবায় সেজদার সামিল বলে গণ্য ছিলেন বিধায় তারাও ঐ একই প্রক্রিয়াই বা একইভাবে ইবলিশ থেকে পবিত্র হয়েছিলেন বিধায় আমাদেরকেও আদমকাবায় আল্লাহকে সেজদা দিয়েই ইবলিশ থেকে পবিত্র হতে হবে। এরজন্য একজন সম্যক গুরু তথা রসুল দরকার। আর সেই রসুল তোমাকে পবিত্র করবেন (২:১৫১)। এখানে উল্লেখ যে অনেকে মনে করতে পারেন যে, সেজদার সময় তোমাদের চেহারা বলতে সাহাবীরা নিজের চেহারা সেজদার সময় প্রতিষ্ঠিত করেছে কথাটা ঠিক নহে। কারণ এখানে স্বরূপে সেজদা কর বলতে যে চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ সেই চেহারাটাকেই বুঝানো হয়েছে। আর তাই নবী (সা.)-এর চেহারাটা সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ তিনি নবী। আর প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে নবুয়ত প্রাপ্ত (৩:৭৯) এবং প্রত্যেক নবীই প্রভুর কাছ থেকে রেসালাত প্রাপ্ত (৭২:২৩)। তাই প্রত্যেক নবীর চেহারাই সেজদাযোগ্য স্বরূপ। যেমন আদম (আ.) এর চেহারা আদমের ক্ষেত্রে সেজদাযোগ্য স্বরূপ কারণ আদম ছিলেন রেসালাত প্রাপ্ত (২:৩০)। কিন্তু ফেরেস্তাদের চেহারা সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে। কারণ ফেরেস্তারা খেলাফত প্রাপ্ত নহে। এইজন্য যাহারা রেসালাত প্রাপ্ত বা খেলাফত প্রাপ্ত নহে তাদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরূপ নহে বিধায় সাহাবীদের স্বরূপ সেজদাযোগ্য স্বরপ নহে বিধায় প্রত্যেক সাহাবীই নবী (সা.) এর চেহারায় সেজদা সময় প্রতিষ্ঠতি করেছে।

Келесі