বাবা লোকনাথ সূর্যরশ্মি অবলম্বন করে ফিরে গেলেন ব্রহ্মলোকে:অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়,পাঠে:রত্না বিশ্বাস।
‘ওরে, আজ কাল আর এই হাড়মাসের খাঁচাটার কথা মনেই থাকে না। এবার আমার ফেরার পালা’- শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী
আজ ১৯ জ্যৈষ্ঠ, রবিবার। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস।
সেদিনও ছিল রবিবার, বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী সূর্যরশ্মি অবলম্বন করে ফিরে গেলেন ব্রহ্মলোকে: লেখা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, পাঠে : রত্না বিশ্বাস।
১৯ জ্যৈষ্ঠ, রবিবার, আশ্রমে তিলধারণের জায়গা নেই। সবাই অঝোরে কাঁদছেন। তুমি তাঁদের সবাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছ, আর বলছ, আজ তোরা তাড়াতাড়ি খেয়ে নে। তোমার আদেশ মতো সবাই দুপুরের আহার করে নিলেন।
তুমি আশ্রম প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে জানতে চেয়েছিলে, আর তো কেউ অভুক্ত নেই? সবাইকার খাওয়া হয়ে গেছে শুনে তুমি ধীরে ধীরে নিজের ঘরটিতে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিলে। তারপর বসলে যোগাসনে। ঘড়িতে তখন বেলা এগারোটা চল্লিশ মিনিট। এটাই ছিল তোমার শেষ উপবেশন। তুমি সূর্যরশ্মি অবলম্বন করে চলে গেলে ব্রহ্মলোকে।
অনেকক্ষণ বাদে তোমার প্রিয়তম শিষ্য ঘরে ঢুকে তোমাকে পরীক্ষা করলেন। তাঁরই নির্দেশে তোমাকে এনে রাখা হল তোমারই প্রিয় বেলগাছের তলায়। তারপর পড়ন্ত বিকেলে আশ্রমের দক্ষিণ অংশে হরি চন্দন কাঠ ও পবিত্র ঘৃত দিয়ে তোমার যোগ দেহের সৎকারের আয়োজন করা হল। শাস্ত্রবিধি মেনে দাহকার্য সম্পাদন করলেন তোমার প্রিয়তম শিষ্য, পুত্রসম রামকুমার চক্রবর্তী।
একদিন শিষ্য হয়ে তুমি সম্পন্ন করেছিলে তোমার গুরুর সৎকার কর্ম, পরজন্মে সেই গুরুই তোমার শিষ্যত্ব বরণ করে তোমার দাহকার্য সম্পন্ন করছেন। আর তুমি! তখন আকাশমার্গে বিচরণ করতে করতে তোমার পরিত্যক্ত পুরনো খাঁচাকে ছাই হতে দেখছ।
আর তোমার ভক্তরা কি করছেন? সেই মুহূর্তে জ্বলন্ত অগ্নির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা উচ্চারণ করছেন সেই মন্ত্র-
পূর্ণব্রহ্মশক্তির্যথা লোকনাথে চ সংস্থিতা।
সর্বরূপং স্বরূপং ত্বং লোকনাথ নমাম্যহম্।।
Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।
★Subscribe to us: sanjibani sudha,
Пікірлер: 4
শত সহস্র কোটি প্রনাম বাবার চরনে । জয় বাবা লোকনাথ ।
জয় বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার জয়🙏
Joy baba loknath ..🙏🙏
কি অসাধারণ লিখেছ দাদা ৷ আর রত্নাদি কি সুন্দর করে বললেন ৷ যেন চোখের সামনে ভেসে উঠল সব ৷ কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়লাম ৷ তখনই মনে হল, না, বাবা তো আছেন ৷ রোজ আছেন, সাথে আছেন, পাশে আছেন ৷