পেঁপে বীজ থেকে চারা করার পদ্ধতি । পেঁপে চাষ পদ্ধতি ২০২৩।পেঁপে চাষ পদ্ধতি A to Z. পেঁপে চাষ।

Автокөліктер мен көлік құралдары

পেঁপে বীজ থেকে চারা করার পদ্ধতি । পেঁপে চাষ পদ্ধতি ২০২৩।পেঁপে চাষ পদ্ধতি A to Z. পেঁপে চাষ। #papaya
Join nowSign in

পেঁপে চাষ পদ্ধতি । আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ
Chas Aabad
Chas Aabad
Student at Visvesvaraya Technological University
Published Aug 7, 2021
+ Follow
পেঁপে চাষ পদ্ধতি - পেঁপে একটি স্বাস্থ্যকর ফল। শর্করা, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ ছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘পেপেন’ থাকে। ইহা প্রোটিন খাদ্য হজমের সহায়ক।
জমি নির্বাচন :
জল নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত দোঁয়াশ বা বেলে দোঁয়াশ মাটি পেঁপে চাষের উপযোগী।
জাত :
ওয়াশিংটন, কোয়েম্বাটুর-১ ও কোয়েম্বাটুর-২, কুর্গ হানিডিউ, সোলো সানরাইজ।
হাইব্রিড জাত : পুসাডোয়ার্ফ, পুসা নানহা, পুসা ম্যাজ্যেষ্টিক, পুসা রাসেল ইত্যাদি
বংশবিস্তার প্রণালী :
বীজ : বীজ বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা দরকার। প্রতি হেক্টরের জন্য ১৫০ ৩০০ গ্রাম বীজের দরকার। বীজতলায় চারা তৈরী করে নিতে হবে।
গাছ রোপনের পদ্ধতি :
৪৫ সেমি. লম্বা, ৪৫ সেমি. চওড়া ও ৪৫ সেমি. গভীর গর্ত খুঁড়ে গাছ লাগাবার ১ মাস আগে প্রতি গর্ত্তে ১০ কেজি গোবর বা আবর্জনা সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ত ভর্তি করতে হবে।
চারা লাগাবার ভাল সময় চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পৰ্য্যন্ত প্রতি গর্ত্তে ১-৩টি চারা গাছ রোপন করতে হবে।
লাগাবার দূরত্ব :
সাধারণতঃ সারি থেকে সারি ১.৮ মিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৮ মিটার হওয়া উচিত। প্রতি হেক্টরে চারা লাগে প্রায় ৯ হাজার। তবে যেখানে রৌদ্রের প্রখরতা বেশী সেখানে ১.৫ x ১.৫ মিটার দূরত্বে গাছ লাগান উচিত। এতে প্রতি হেক্টরে চারা লাগবে ১২-১৩ হাজার।
মাদা তৈরি
চারা থেকে চারার দুরত্ব হবে ১.৮ - ২ মিটার।
চারা রোপণের জন্য ৪৫*৪৫*৪৫ সেমি গর্ত করতে হবে। গর্তের উপরের মাটি একপাশে ও নিচের মাটি অন্য পাশে রাখতে হবে।
চারা রোপণের ১৫-২০ দিন আগে গথের উপরের মাটির সাথে ১৫ কেজি পচা গোবর, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০০গ্রাম টিএসপি, ২০ গ্রাম জিংক সালফেট, ২০ গ্রাম বরিক এসিড মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে এবং বাগানে সেচ দিতে হবে।
সার প্রয়োগ :
প্রতি বৎসর প্রতি গাছের ১৫ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে।
তা ছাড়া প্রতি গর্তে ১৫০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ১৫০ গ্রাম ফসফেট ও ১৫০ গ্রাম পটাশ তিনবারে সমান ভাগ করে গাছ লাগাবার পর তিন মাস অন্তর অন্তর দিতে হবে।
প্রতি হেক্টরে প্রতি বছর সার লাগে ৪৫০ কেজি, নাইট্রোজেন ৪৫০ কেজি ফসফেট এবং ৪৫০ কেজি পটাশ।
মাটিতে যথেষ্ট রস না থাকলে সার দেওয়ার পর সেচ দিতে হবে।
পরিচর্যা :
গাছের গোড়া থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে ও কোদাল দিয়ে গোড়ার মাটি কুপিয়ে আলগা করে দিতে হবে।
চারা লাগাবার ৪-৫ মাস পরে ফুল আসলে প্রতি গর্ত্তে একটি করে সবল স্ত্রী গাছ রেখে বাকী গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে।
বাগানের মোট গাছের শতকরা ১০টি পুরুষ গাছ রাখা দরকার। এগুলি বাগানের চারদিকে ছড়িয়ে থাকতে হবে।
পেঁপের ফলন ও আকার সেচের উপর নির্ভর করে। সাধারণতঃ শীতের সময় ১০-১২ দিন পর একটি করে ও গরমের সময় ৭-৮ দিন পর একটি করে সেচ দেওয়া দরকার।
লম্বা রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। সেচের পর ‘জো’ হলে কোদাল দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে।
পেঁপের রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন
পেঁপের সাধারণত যে রোগ গুলো দেখা যায় সে গুলো হলো-
ঢলেপড়া ও কাণ্ড পঁচা রোগ
পাতা কোঁকড়ানো
এ্যানথ্রাকনোজ
মোজাইক রোগ
এবং পোকার মধ্যে মিলিবাগ।
ঢলেপড়া ও কাণ্ড পঁচা রোগ
বাগানের মাটি স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে চারা ঢলেপড়া রোগ দেখা দিতে পারে। এবং বর্ষাকালে কাণ্ডপচা রোগ হতে পারে। কাণ্ড পচা রোগ হলে গাছের গোড়ার দিকে বাদামি বর্ণের পানি ও ভেজা দাগ দেখা যায়। এ রোগ হলে আক্রান্ত চারা ও গাছ মারা যায় ও ঢলেপড়ে।
প্রতিকার
বীজতলার মাটি শুকনা রাখতে হয় এবং ছত্রাক নাশক ২-৩ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের সাথে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।
আক্রান্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২ গ্রাম রিডোমির এম জেড-৭২ ছত্রাক নাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে কাণ্ডে স্প্রে করতে হবে।
পেঁপের মোজাইক রোগ
এটি ভাইরাস জনিতএকটি রোগ। এ রোগের কারণে পেঁপে গাছের পাতায় হলুদ রং এর ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। পাতার বেঁটা বেঁকে থাকে এবং গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। যাব পোকার আক্রমণে এরোগ বিস্তার লাভ করে।
প্রতিকার
আক্রান্ত গাছ তুলে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
রোগ বিস্তার করা পোকা দমন করে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
এজন্য নোভাস্টার ৫৬ইসি ০২ মিলি বা হেমিডর বা পিমিডর বা এডমায়ার ২০০ এসএল ০১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন স্প্রে করতে হবে।
মিলিবাগ পোকা
বর্তমান সময়ে মিলিবাগ পেঁপের একটি ক্ষতিকর পোকা হিসাবে আর্বিরভাবহয়েছে। এ পোকার আক্রমণে গাছের পাতা ও ফর শুটি মোল্ড রোগের সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত পাতা ও ফলে সাদা পাউডারের মতো আবরণ পড়ে। আক্রমণের মাত্র বেশি মাত্রায় হলে গাছ মারা যেতে পারে।
প্রতিকার
আক্রমণের প্রথম দিকে আক্রান্ত পাতা ও ফল বা কাণ্ড সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে বা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হবে।
আক্রমণ বেশি হলে এডমায়ার ২০০এসএল ০.২৫ মি.লি. হারে বা সাবানের পানি ৫ গ্রাম মিশিয়ে ৫-৭ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।
ফল ধরার সময় :
চারা লাগাবার ৮-১০ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। ফল খুব বেশী থাকলে সবগুলি সমান বড় হতে পারে না। কিছু ফল ছোট বা মাঝারী অবস্থায় পেড়ে নিতে হবে।
ফল সংগ্রহ
পেঁপে সবজি হিসাবে ব্যবহার করলে ফলের কষ যখন হালকা হয়ে আসে এবং জলীয় ভাব ধারণ করবে তখন সংগ্রহ করতে হবে। ফলের গায়ে যখন হালকা হলুদ ভাব দেখা যাবে তখন ফল হিসাবে সংগ্রহ করতে হবে।
পেঁপের ফলন
উপযুক্ত নিয়মে ও পেঁপে চাষ করার নিয়মগুলো অনুশরণ করলে হেক্টর প্রতি ৪০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়।

Пікірлер: 3

  • @MDTohinAhmadhridoy
    @MDTohinAhmadhridoy3 ай бұрын

    স্যার,আপনার জন্য শুভকামনা রইল ❤🎉

  • @mehedihasanmunna7893
    @mehedihasanmunna78936 ай бұрын

    পেপে বীজ থেলে গাছে ফলন আসতে কত মাস সময় লাগে?

  • @officefarming

    @officefarming

    6 ай бұрын

    ৫ মাস

Келесі