পাবনার গয়েশপুর মোস্তফাবিয়া এতিমখানার কাগুজে কমিটির বিরুদ্ধে অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পাবনার গয়েশপুর মোস্তফাবিয়া এতিমখানার কাগুজে কমিটির
বিরুদ্ধে অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পাবনার গয়েশপুর মোস্তফাবিয়া কমপ্লেক্সের ইয়াতিমখানাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সরকারি-বেসরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তাদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে
সরোজমিনে গলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
আব্দুল কাইয়ুম এর ক্যামেরায় পাবনা থেকে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আমাদের প্রতিনিধি হাসান আলী।
এলাকাবাসী আবু সাঈদ প্রামানিক জানান, এলাকার সর্বশ্রেণীর মানুষের সহযোগীতায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সালে সরকারি নিবন্ধন প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে এতিমখানাসহ প্রায় ১৯ ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠনেও রয়েছে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতা। তিনি বলেন, কখন কি ভাবে কমিটি গঠন করা হয় কাগজ-কলমে ছাড়া বাস্তবে দেখা যায় না।
এলাকাবাসী আরও জানায়, এলাকার ছেলে-মেয়েদের এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে গেলে সভাপতি নানান শর্ত জুড়ে দেয়ার কারণে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা করতে হয়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
এদিকে মাদ্রাসার সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন জানান, এতিমখানার কার্যকরী কমিটি নির্বচনের জন্য তপশিল ঘোষণা, মনোনয়ন পত্র বিতরণ, দাখিল এবং নির্বাচনের ব্যাপারেও কোনো প্রকার নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয় না। সভাপতি তার ইচ্ছা স্বাধীন মত কাজ করেন।
কমিটির ক্যাষিয়ার মালেক খান জানান, এতিমখানার জন্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বরাদ্দের টাকার হিসাব সম্পর্কে আমাদের জানতে দেওয়া হয়না। কিভাবে আয়-ব্যয় হয় তাও তিনি জানেন না বলে দাবী করেন।
কার্যকরী কমিটির সেক্রেটারী বিল্লাল হোসেন এতিমখানা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দায়িত্বে থাকলেও আর্থিক লেনদেনসহ কোনো কার্যক্রমে তার কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবী করেন।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ্য, আমাকে সেক্রেটারী পদ থেকে বাদ দিতে বালি, কিন্ত কাগজ-কলমে আমাকে পদ দিয়ে রাখেন সভাপতি সাহেব।
এতিমখানার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মাসে ৫শ‘ টাকা বেতন দিয়ে পড়া-লেখা করে।
এতিম খানার একজন শিক্ষক বলেন, আমি ছাত্রদের শিক্ষাদান করি। কিন্তু কয়জন এতিম ছাত্র আছে তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেন নি। তবে এলাকাবাসী একজন এতিমের কথা জানান।
এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাশেদুল কবীর বলেন প্রতিষ্ঠানটিতে এ বছর ৫৫ জন এতিমের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে প্রত্যেককে মাসে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। তবে সেখানে যদি এতিম না থেকে থাকে বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দশ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এতিমখানার এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতাসহ নানান অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য অভিযুক্ত সভাপতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তাকে না পেয়ে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনো প্রকার কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
সিএনএফ টিভি।

Пікірлер: 1

  • @MDAatabali
    @MDAatabali2 ай бұрын

    এই এতিম খানাই বাচ্চা দতখ দেই না দিলে নাম বার দেন

Келесі