মাইগ্রন এর কারনে মাথা ব্যথা: মাইগ্রেনে করণীয়- নিউরোসার্জন এর পরামর্শ
মাইগ্রেন ও মাথা ব্যথাঃ
মাথা ব্যাথা কার না হয়...মাথা ব্যাথা হবার অনেক গুলি কারনের মধ্যে মাইগ্রেন অন্যতম।
মাইগ্রেন হলো মস্তিষ্কের এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল পেইন বা যন্ত্রণা। মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের পার্থক্য হলো : শুধু মাথাব্যথায় কেবল মাথার যন্ত্রণা করে, কিন্তু মাইগ্রেনে মাথার যন্ত্রণার সঙ্গে শরীরে আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে শুধু মাথাব্যথা হলে মাথার যন্ত্রণাটি পুরো মাথাজুড়ে হতে পারে। কিন্তু মাইগ্রেন হলে মাইগ্রেন সচরাচর মাথার যে কোনো একপাশে হয়। শুধু মাথার যন্ত্রণা যতটা মারাত্মক হয়, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা আরও বেশি হয়। শুধু মাথাব্যথা হলে মাথায় নিউরোলজিক্যাল পেইন অনুভব করে। কিন্তু মাইগ্রেন হলে মাথার সঙ্গে চোখ, পেট, মুখ, নাক, অনেক কিছুই আক্রান্ত হয় বা হতে পারে। মাইগ্রেন হলে আলো, শব্দ, গন্ধ, দৃষ্টিতে সমস্যা, চিন্তায় অস্বচ্ছ হয়ে যাওয়া, ফোকাসিং পাওয়ার কমে যাওয়া, শরীরজুড়ে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া, কথা বলতে সমস্যা, রোদ, তীব্র লাইট, হালকা শব্দ এবং ধুলোবালি সহ্য করতে পারে না।
মাইগ্রেনের জন্য অনেক ধরনের ওষুধ প্রচলিত আছে। সুচিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করুন।
মাইগ্রেনের রোগীদের মাথাব্যাথা প্রতিরোধে করনীয়ঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস পানি পান করবেন। সারাদিনে পানির পরিমান নূন্যতম ২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার পানি পান করবেন
সকালের নাস্তা, দুপুরের ও রাতের খাবার প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে করুন।
৩ বেলা খাবারের পাশাপাশি প্রতি ২ ঘন্টা পর পর হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার যেমন বিস্কিট / ১টি কেক, ২ টি খেজুর বা ফল-মূল খেতে পারেন। খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যাথা বাড়তে পারে।
দিনের বেলায় রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চোখে রোদ চশমা বা সান গ্লাস ব্যবহার করুন। তীব্র রোদের আলো মাথা ব্যাথা বাড়ার অন্যতম কারন।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া ক্ষতিকর। চকলেট, রেড ওয়াইন, কোমল পানীয়, আইসক্রীম, দই, ডেয়ারী প্রোডাক্ট (দুধ, মাখন), ড্রাই ফ্রুটস, চীজ জাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলুন। কাজুবাদাম, ওয়ালনাট ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ হয় বলে খেতে পারেন। আদা কুচিতে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সানফ্লাওয়ার অয়েলে রান্না করলেও রোগীর জন্য উপকার হতে পারে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং পরিমিত পরিমান ঘুমাবেন।
কম আলোতে কোন কাজ করবেন না।
একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় মোবাইল বা টিভি স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। ১০মিনিট পর পর ১০-২০ সেকেন্ডের জন্য চোখ বন্ধ রাখুন অথবা দূরে তাকিয়ে থাকুন।
উচ্চ শব্দ ও কোলাহলপূর্ণ স্থানে বেশিক্ষন থাকবেন না।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন, স্ট্রেস কমলে মাইগ্রেনের ব্যাথাও কমে যাবে।
মাইগ্রেনের বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ রয়েছে। একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম ঔষুধ কার্যকর হয়ে থাকে। তাই নিজে ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঔষুধ সেবন করুন।
ডাঃ মোঃ হুমায়ন রশিদ
এমবিবিএস, এম এস ( নিউরোসার্জারি)
ফেলোশিপ ডিপ্লোমা স্কাল বেজ সার্জারি (রামাইয়া ইউনিভার্সিটি, ব্যাঙ্গালোর, ভারত)
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
নিউরোসার্জারি বিভাগ
ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
#neurosurgeon #awarenesspost #migraine #migrainetreatment #migraineawareness #headache #headcche
Пікірлер: 7
Hi😊
@neurosurgeonhumayunrashid
5 күн бұрын
Hello
NEUROSURGEON IS NOT A SPECIALTY DOCTOR TO TREAT MIGRAINE.
@neurosurgeonhumayunrashid
Ай бұрын
Absoulutely right...But Doctor, you know most of the cases we deal in our every day practice diagnosed with migraine...Every where there is negativity....Be positive and we will surely have a better world...Thanks...
@imtiazkaziDr
Ай бұрын
@@neurosurgeonhumayunrashid It is your conscience. "ওরে ভীরু, তোমার হাতে নাই ভূবনের ভার।" রবীন্দ্রনাথ। You do what you are supposed to do, to make a better world one needs PHILOSOPHICAL OUTLOOK.
মাইগ্রেন কখনোই ভালো হয় না আমি অনেক চিকিৎসা করেছি
@neurosurgeonhumayunrashid
21 күн бұрын
ডায়াবেটিস , উচ্চ রক্তচাপ কি ভালো হয়? কিছু রোগ আছে CURABLE কিছু আছে CONTROLABLE..মাইগ্রেনের ট্রিগারিং ফ্যাক্টর নিয়ন্ত্রন করলে সুস্থ থাকতে পারবেন। দীর্ঘ মেয়াদে ঔষুধ প্রয়োজন হবে না। ফি আমানিল্লাহ্