কোথায় হারিয়ে গেলো ঢাকার বিখ্যাত সব সিনেমা হল
১৮৯৮ সালের ১৭ই এপ্রিল সদরঘাটের পাটুয়াটুলী এলাকার ক্রাউন থিয়েটারে প্রদর্শিত হয় ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র। এরপর জগন্নাথ কলেজ, ভিক্টোরিয়া পার্ক সহ আরো কিছু স্থানে সিনেমা দেখানো হয়।
ধীরে ধীরে ঢাকার বুকে বাড়তে থাকে সিনেমা হল। বিভিন্ন হলে দেখানো হতো বৈচিত্রময় ছবি। কি মধুর ছিলো সেই দিনগুলো ! সে সময়ে ঢাকা শহরের আকর্ষণীয় সব সিনেমা হল কালের ব্যবধানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। একদিকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অন্যদিকে করোনার থাবায় বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকশ প্রেক্ষাগৃহ।
একটু পেছনে ফিরে তাকানো যাক কেমন ছিলো সেই সময়ের সিনেমা হলগুলো?
বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হল শাবিস্তান এর আগের নাম ছিল পিকচার হাউজ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় লেজার নামের একজন ইংরেজ আরমানিটোলায় প্রতিষ্ঠা করেন এই হলটি। হারিকেনের আলো আর লন্ঠন দিয়ে ছবি দেখানো হত প্রথম দিকে। যদিও একুশ শতকের শুরুতে বন্ধ হয়ে যায় এই হলটি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুলিস্তান মাজারের পাশে নির্মিত হয় ব্রিটানিয়া সিনেমা হল। এখানে শুধু ইংরেজি চলচ্চিত্র দেখানো হত। ফলে ঢাকার শিক্ষিত শ্রেণীর চাহিদার তুঙ্গে ছিল এটি। ১৯৫০ এর দিকে বন্ধ হয়ে যায় এ সিনেমার হলটিও।
সিনেমা প্যালেস দেশের দ্বিতীয় সিনেমা হল। বুড়িগঙ্গার উত্তর পাশে ১৯২৪ সালে এটি তৈরি করা হয়। কারো মতে, এটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রূপলাল দাস, কেউ দাবি করেন ধীরেন দাশ। মালিকানা পরিবর্তনের সূত্রে এই হলের নামকরণ হয় মতিমহল। পরবর্তীতে জমিদার মুকুল ব্যানার্জীর মালিকানায় চলে গেলে হলের নতুন নাম হয় রূপমহল। বিশ শতকের শেষের দিকে এই ঐতিহাসিক সিনেমা হল ভেঙে ফেলা হয়। তৈরি করা হয় বহুতল ভবন।
পল্টন মাঠের পাশে ১৯৫৩ সালে নির্মিত হয় গুলিস্তান সিনেমা হল। কলকাতার চিত্র ব্যবসায়ী খান বাহাদুর ফজল আহমদ এই হল প্রতিষ্ঠা করেন দেশভাগের পর। শুরুতে এই হলের নাম ছিল লিবার্টি, পরে রাখা হয় গুলিস্তান। এই হলের নামের কারণেই এলাকাটি পরিচিত হয় গুলিস্তান নামে।
জনপ্রিয় সিনেমা হল বলাকা। এটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর অবস্থান রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেটের বিপরীতে। ঐতিহ্যবাহী এই হলে গেলে এখন আর খুঁজে পাবেন না আগের সেই চিত্র। ঢাকা শহরের অন্যতম প্রাচীন সিনেমা হল মধুমিতা। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৭ সালে যাত্রা শুরু করে হলটি। মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা এবং টিকাটুলির অভিসার সিনেমা হল এখনো বিখ্যাত।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে রয়েছে আরও বিখ্যাত কিছু সিনেমা হল। সময়ের পরিক্রমায় এখন হয়তো আগের অবস্থায় নেই কিন্তু, স্মৃতির পাতায় এই হল গুলোর পদচারনা এখনো রয়েছে বেশ। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শাহীন সিনেমা, কাকরাইলের রাজমনি, নয়াপল্টনের জোনাকী সিনেমা হল ছাড়াও আরও অনেক হল এখনো মনে করিয়ে দেয় স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখার সেই সময়ের কথা। এখনকার আধুনিক সিনেমা হলের কাছে হয়তো এই হলগুলো ঘোলাটে পর্দা, কিন্তু তাতে কী! ফেলে আসা দিনগুলি মনে করার মত আনন্দ আর কোথাও কী আছে?
#cinema_hall
#cinema
#bangla_cinema
#shadhikar_tv_স্বাধিকার
Stay Connected with us:
---------------------------------------
Website: shadhikar.com/
Facebook: / shadhikartv
Twitter: / shadhikartv
Instagram: / shadhikartv
KZread: / shadhikartv
Пікірлер: 5
Thanks for this video.It makes me nostalgic.Best of luck for your channel
একটা সময় ছিল ঢাকা সিনেমা হলগুলোর কত সুন্দর রঙিন ছবি চলত কত দর্শক হয়েছিল হলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বড় বড় সিনেমা এখন বন্ধ করে শপিং মল তৈরি কারণ আমাদের বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অবস্থা এখন লাজুক সিনেমায় দর্শক নাই ভালো গল্প নয় ভালো মানের অভিনেতা নেই আছে শুধু নির্বাচন দলাদলিও মুক্তপদ এজন্য আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাইতো 14015 হাজার-বিশ হাজার-পঞ্চাশ হাজার এক লাখ টাকা দিয়ে পকেট সিনেমা হল তৈরি করে ধন্যবাদ জানাই মোঃ জাকির হোসেন সদস্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক প্রতিনিধি সমিতি
Wise ghat er moon , star, diamond, er kotha bollen na?
চিত্রা মহল সিনেমা হল ভেঙে ফেলা হয়েছে
Somosto gan bajna,cinema chirotore bondho hoye jak