আধুনিক জৈব পদ্ধতিতে আম গাছে সার প্রয়োগ। আগামী বছরে দ্বিগুণ ফলন চাইলে ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন।

সঠিক মাত্রায় সুষম সার দিতে হবে প্রতি বছর। প্রথম বছরে গাছ প্রতি ১৬০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও ১২৫ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ দিন। এর সঙ্গে বয়স গুণ করে প্রতি বছর সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ১০ বছরের গাছ হলে ১৬০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট, ১২৫০ গ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এরপর সারের হার একই থাকবে। অণুখাদ্যের অভাব পূরণে বোরণ, মলিবডেনাম, জিঙ্ক প্রয়োগ করতে হবে। আর রাসায়নিক সারের পূর্ণ কার্যকারিতা পেতে প্রতি বছর ৪০-৫০ কেজি জৈব সার অবশ্যই মেশাতে হবে মাটিতে নিয়মিত জল দিতে হবে। মাটিতে যেন রসের অভাব না হয়।
• শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগগ্রস্ত ডাল দেখার সঙ্গে সঙ্গে তেরচা ভাবে ছেঁটে দিতে হবে, যাতে বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ে যায়। এই কাটা অংশে কপার-অক্সিক্লোরাইড ৫০% ডব্লুপি-এর প্রলেপ লাগালে পচন রোধ হবে।
• পরাগসংযোগের জন্য বাগানে মৌমাছি চাষ করা যেতে পারে।
• গাছটির বৃদ্ধির হার খুব বেশি হলে কিছু কিছু ডালে প্রায় দু’সেমির মতো ছাল গোল করে চার দিক থেকে তুলে ফেলতে হবে। এটি করতে হবে অক্টোবর মাসে (আশ্বিনের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের মাঝামাঝি)।
• পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ইথেফন প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সব শেষে প্যাক্লোবিউট্রাজোল
এত কিছু করার পরেও গাছে ফুল না এলে প্যাক্লোবিউট্রাজোল নামক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক প্রয়োগ করে ফুল-ফল ফলানো সম্ভব। আমের জাতের উপর নির্ভর করে প্যাক্লোবিউট্রাজোল ২৩% এসসি প্রয়োগ করতে হবে অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। অর্থাৎ ভাদ্রের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আশ্বিনের তৃতীয় সপ্তাহ। তবে, এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
• গাছের বয়স অন্তত ৯ হতে হবে।
• নিয়মিত জল ও সুষম মাত্রায় সার দেওয়া হলে তবেই প্রয়োগ করা যাবে। অনথ্যায় গাছ মরে যেতে পারে।
• এটি প্রয়োগের আগে বাগানকে আগাছামুক্ত করতে হবে।
• নাইট্রোজেন ঘটিত সার প্রয়োগ করার ৮-১০ সপ্তাহ বাদে প্যাক্লোবিউট্রাজোল প্রয়োগ করা যেতে পারে। তার আগে নয়।
• আম পেড়ে নেওয়ার পর ভিতরের ডালগুলো এমন ভাবে ছেঁটে দিতে হবে যাতে সূর্যের আলো ঢোকে।
• প্রয়োগ পদ্ধতি: প্রথমেই আপনার গাছের ডালের গড় দূরত্ব জানতে হবে। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে পাশের দিকের বিভিন্ন ডালের দূরত্ব যোগ করে, যতগুলো ডালের দূরত্ব নেওয়া হয়েছে, তত সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে গড় দূরত্ব পাওয়া যায়। গড় দূরত্ব ৫ হলে, এর অর্ধেক অর্থাৎ গোড়া থেকে ২.৫ মিটার দূরে রিং টেনে নিতে হবে। রিং চওড়া হবে ১.৫ ফুট, গভীরতা চার ইঞ্চি। মাটি কুপিয়ে নরম করার পর জল দিয়ে ‘জো’ আনতে হবে। এরপর প্যাক্লোবিউট্রাজোল জলে গুলে রিং-এ প্রয়োগ করতে হবে। শুকিয়ে গেলে মাটি দিয়ে চাপা দিতে হবে।
• মাত্রা: ডালের গড় দূরত্ব ৫ মিটার হলে প্যাক্লোবিউট্রাজোল লাগবে ২০ মিলিলিটার অর্থাৎ প্রতি মিটার গড় দূরত্বের জন্য চার মিলিলিটার। এক মিলিলিটার প্যাক্লোবিউট্রাজোলের জন্য জল লাগবে এক লিটার।
লেখক মালদহ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ

Пікірлер: 6

  • @turagdhali
    @turagdhali2 жыл бұрын

    খুব সুন্দর হয়ছে

  • @FarakkabadAgro
    @FarakkabadAgro2 жыл бұрын

    👌

  • @Smoky_Love
    @Smoky_LoveАй бұрын

    আরে ভাই কোন কোন সময় সার দিতে হবে?

  • @zobaydakhatun1599
    @zobaydakhatun15992 жыл бұрын

    Khub valo hoease vhai. Saad bagane kivabe koto tuku fertilizer dibo seta bolle upokreto hotam. Thank you.

  • @দারুণকৃষি

    @দারুণকৃষি

    2 жыл бұрын

    আমি ছাদ বাগানে ও আমার আছে আমি ছাদ বাগানে কিভাবে সার দেই আমি পূর্ণাঙ্গ একটা ভিডিও দিব আমগাছের আপনারা প্লিজ দেখবেন আপনি। প্রয়োজনে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন পরবর্তীতে চলে যাবে।

  • @zobaydakhatun1599

    @zobaydakhatun1599

    2 жыл бұрын

    Dhonnobad vhai. Already subscribe koresi.

Келесі